‘আমি যখন সকালে অনুশীলন করি, তখন আপনারা ঘুমিয়ে থাকেন’

Mushfiqur Rahim
সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক

বাংলাদেশের হয়ে প্রথম দুটি মাইলফলকে নাম মুশফিকুর রহিমের। দেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পর টেস্টে পাঁচ হাজার রানেও দেশের প্রথম তিনি। তবে খানিকটা এদিক সেদিক হলে এই দুটি রেকর্ডই হতো অন্য দুজনের। এই অর্জনের পেছনে ভাগ্য নয়, কঠোর পরিশ্রমের ফল হিসেবে দেখেন মুশফিক।

২০১৩ সালে গল টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে মোহাম্মদ আশরাফুল অপরাজিত ছিলেন ১৮৯ রানে, তার সঙ্গী মুশফিক ছিলেন ১৫২ রানে। আশরাফুলই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু চতুর্থ দিন সকালে আর এক রান যোগ করেই ফিরে যান আশরাফুল। মুশফিক থামেন ২০০ রান করে।

পাঁচ হাজারের মাইলফলকে যেতেও এই টেস্টে এগিয়ে ছিলেন তামিম ইকবাল। চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগে পাঁচ হাজারে যেতে ৬৮ দরকার ছিল মুশফিকের, তামিমের দরকার ছিল ১৫২ রান। কিন্তু ওপেন করতে নেমে দারুণ সেঞ্চুরিতে তামিমই এগিয়ে যান অনেকটা।

তৃতীয় দিনে মুশফিক যখন ক্রিজে আসেন, তামিম ততক্ষণে করে ফেলেছেন ১১২ রান। তাকে ৭ রানে রেখে তামিম পৌঁছে যান ১৩২ রানে। পাঁচ হাজার তখন তার হাত ছোঁয়া দূরত্ব। কিন্তু ১৩৩ রান করেই হাতের পেশিতে টান পড়ায় মাঠে থাকা হয়নি তামিমের। তামিমকে ওই রানেই থামিয়ে চতুর্থ দিনে এসে মাইলফলক স্পর্শ হয়ে যায় মুশফিকের।

তবে এটাকে ভাগ্য নয়, পরিশ্রমের ফল হিসেবে দেখেন মুশফিক। সংবাদ সম্মেলনে নিজের পরিশ্রমের কথা জানান একটু বাড়তি জোর দিয়ে, 'যেটা বললেন যে ভাগ্যবান মনে হয় না। এই যে কপালটা (হাত দিয়ে কপাল দেখিয়ে)  দেখেছেন। আমি যখন অনুশীলনে সকালে উঠি, আপনাদের বেশিরভাগ তখন ঘুমিয়ে থাকে। আল্লাহর রহমতে কিছুটা হলেও তো আল্লাহ দেখেন।'

এমন অর্জন ধরা দেওয়ার পর দ্রুতই তামিমের অভিনন্দন পান তিনি। জানান তাদের মধ্যে চলছে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা। বরং তার আগে তামিম তা করলে তিনি খুশি হতেন আরও বেশি,  'আমি যেটা অনুভব করি। আপনি নিজে যেটা করে না মজা পাবেন, তারচেয়ে আপনার ভাই বা আপনার বন্ধু বা সতীর্থ যদি সেটা অর্জন করে সেটার অনুভূতি অন্যরকম। এটা সব সময় আমার কাছে হয়। আমি ডাবল সেঞ্চুরি করার পর প্রথম রেকর্ড ভেঙেছিল সেই। আমি খুবই খুশি ছিলাম। রেকর্ড হয়ই ভাঙার জন্য। ওটা ও তাড়াতাড়ি ভেঙেছে। এবং ও আমাকে বলেছিল পরের দুই-তিন বছরের মধ্যে তুই আমার রেকর্ড ভাঙবি।'

'এটা খুব স্বাস্থ্যকর লড়াই। এভাবে সতীর্থরা আমরা একজন আরেকজনকে সহায়তা  করি।'

Comments

The Daily Star  | English

20 non-banks on BB red list

As of December last year, they disbursed Tk 25,808 crore in loans against collateral worth Tk 6,899 crore, according to the BB report

9h ago