বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন মুশফিক
চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর। এর আগের সাতটি আসরে কম বেশি বাংলাদেশের প্রায় সব সিনিয়র খেলোয়াড় পেয়েছেন এ শিরোপার স্বাদ। কিন্তু সে তালিকায় নাম নেই মুশফিকুর রহিমের। এবারও বিদায় নিলেন এলিমিনেটর রাউন্ড থেকে। স্বাভাবিকভাবেই অভিজ্ঞ এ খেলোয়াড়ের জন্য বড় আক্ষেপই এ আসর।
এবার খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলছেন মুশফিক। দলটির অধিনায়কও তিনি। অবশ্য গত আসরেও এই দলেই খেলছেন। সেবার খুলনাকে ফাইনালে তুলতে পেরেছিলেন। বিপিএলে এটাই তার সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার সে সাফল্যকে ছাপিয়ে শিরোপায় চুমু খেতে চেয়েছিলেন তিনি। আসর শুরুর আগে এ কথাই বলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের এলিমিনেটর রাউন্ডের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৭ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ রান করে তারা। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮২ রানের বেশি করতে পারেনি মুশফিকের দল। অথচ ম্যাচে এক সময় মনে হয়েছিল সহজ জয়ই পেতে যাচ্ছে তারা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শোনালেন কঠিন বাস্তবতার কথা, 'শেষ দুই বছর খুলনার হয়ে খেলছি। এ জন্য সম্মানিত। শেষবার ফাইনাল খেলেছি। এবার সেখানে গিয়ে আরেকবার চেষ্টা করা… সেটা হয়নি। তবে আমরা হার্ড অ্যান্ড সোল ট্রাই করেছি। এটা টুর্নামেন্টের পার্ট। ছয় দলের একটি চ্যাম্পিয়ন হবে। বাকিদের বাদ পড়তে হবে।'
তবে আগামীতে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেই জানান এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার, 'গতবার আমরা রানার্সআপ হয়েছি। এবার ইচ্ছা ছিল ফাইনালে যেন যেতে পারি। দুর্ভাগ্যবশত যেতে পারিনি। সামনে যখনেই খেলবো চেষ্টা করবো যেন আমরা ভালো খেলতে পারি।'
অথচ বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুশফিক। আসর শুরুর আগে শীর্ষেই ছিলেন। তবে এবার অসাধারণ ব্যাটিং শৈলী দেখিয়ে তাকে পেছনে ফেলেছেন জাতীয় দলের সতীর্থ তামিম ইকবাল খান। যদিও ব্যক্তিগতভাবে আসরটা খারাপ যায়নি মুশফিকেরও। ৯ ইনিংসে ৩৫.৮৫ গড়ে করেছেন ২৫১ রান।
Comments