ভ্রমণ

কক্সবাজারে ৫০ শতাংশ হোটেল বুকড

আগামী ২ মে বা ৩ মে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। আসন্ন এই ঈদকে সামনে রেখে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের অধিকাংশ হোটেল, মোটেল-কটেজ ও রেস্টুরেন্টগুলো মেরামত ও সাজসজ্জার প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ।
Cox's Bazar-1.jpg
কক্সবাজারে সমুদ্রসৈকত। স্টার ফাইল ছবি

আগামী ২ মে বা ৩ মে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। আসন্ন এই ঈদকে সামনে রেখে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের অধিকাংশ হোটেল, মোটেল-কটেজ ও রেস্টুরেন্টগুলো মেরামত ও সাজসজ্জার প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ।

এদিকে, ঈদের ১০ দিন আগেই কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের প্রায় ৫০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সৈকতের ব্যবসায়ী সমিতি।

তবে কটেজ ও ফ্ল্যাট ব্যবসায়ীরা আগাম কক্ষ বুকিং দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া, রমজানের শুরু থেকে কক্সবাজারে পর্যটক নেই বললেই চলে। একইভাবে পর্যটন জোনের সব ধরনের রেস্টুরেন্টও প্রায় ক্রেতা শূন্য থাকে। তাই অনেক রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হয়।

হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, 'রমজানের শুরুতেই পর্যটক না থাকায় বহু হোটেল-কটেজে কর্মচারী ছাঁটাই করেছে। এতে পুরো রমজান ও ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে তাদের।'

সৈকতের লাবণী পয়েন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ বলেন, 'রমজানের পর্যটক না থাকায় বেচা-কেনা হয় না। তাই দোকান বন্ধ রাখা রয়েছে। তবে ঈদের পরে ব্যবসার জন্য নতুন করে মালামাল ওঠানোসহ সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।'

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, 'পুরো রমজান মাস পর্যটক না থাকায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের ব্যবসার মন্দ চলছে।'

তবে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে লাখেরও বেশি পর্যটক সমাগম হবে বলে আশা করছেন তিনি। তাছাড়া, সম্প্রতি হোটেল-মোটেলেও প্রায় অর্ধেক শতাংশ কক্ষ ঈদের ১০ দিন আগেই বুকিং হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, 'প্রতি বছরই রমজান মাসে পর্যটক শূন্য থাকার সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের সাজসজ্জাসহ সব ধরনের মেরামতে কাজ হয়ে থাকে। সম্প্রতি সাজসজ্জার প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। ইতোমধ্যেই হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। ঈদের আগের দিনগুলোতে বাকি কক্ষগুলোও বুকিং হতে পারে।'

রমজানের কারণে শুধু হোটেল-রেস্টুরেন্ট নয়, পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোও বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে সৈকত এলাকার ঝিনুক, আচার, মাছ ফ্রাই ও কাপড়ের দোকানগুলো ৯০ শতাংশ বন্ধ রাখা হয়।

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, 'রমজানে পর্যটকের উপস্থিতি কম হলেও ঈদের ছুটিতে পর্যটকের সমাগম ঘটবে। তাই পর্যটকের সেবা নিশ্চিত করতে এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ।' 

Comments

The Daily Star  | English
Raushan Ershad

Raushan Ershad says she won’t participate in polls

Leader of the Opposition and JP Chief Patron Raushan Ershad today said she will not participate in the upcoming election

1h ago