ভর্তিচ্ছুদের শুভেচ্ছা: ঢাবি কর্তৃপক্ষের থেকে আধাঘণ্টা সময় পেল ছাত্রদল

ভর্তিচ্ছুদের শুভেচ্ছা জানাতে ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা৷ এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের কোনো ধরনের বাধা দেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার পর থেকে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের ফটকের সামনে অবস্থান নেন।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দুপুর সাড়ে ১২টার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থিত আইন অনুষদের প্রধান ফটকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান৷ সব মিলিয়ে কর্মসূচি পালনের জন্য তারা আধাঘণ্টা সময় পান।

এ সময় ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন৷ তারা শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ও বিভিন্ন স্লোগান দেন।

ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন নাসির কর্মসূচি শেষে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কর্মসূচি শুরু করার আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নিতে হয়েছে৷ প্রক্টর স্যার আমাদের ক্যাম্পাসের বাইরে কর্মসূচি পালন করতে বলেন৷ আমরা স্যারকে বলি, "ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের কর্মসূচি পালন করছে। আমরাও শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে চাই৷" এরপর আমরা কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ প্রথমে বাধা দেয়৷ এক পর্যায়ে পুলিশকে বুঝিয়ে আমরা কর্মসূচি পালন করি।'

ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক আকতার হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আমাদের বেশি সময় দেননি। যেটুকু সময় পেয়েছি, সেটুকু সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাটিয়েছি৷ তাদের ফুল ও কলম দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পেরে খুবই ভালো লাগছে৷'

এদিকে ছাত্রদলের পাশাপাশি আজ ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের নেতা-কর্মীরা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ফুল, পানি ও কলম দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

গত ২৪ মে ক্যাম্পাসে প্রথম দফায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। সেদিন বিএনপির এই ছাত্র সংগঠনের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। পরে ২৬ মে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় হাইকোর্ট মোড় এলাকায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর আবার হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এ সময় ২ পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ছাত্রদলের ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হন৷

এরপর থেকে কার্যত ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ক্যাম্পাস এলাকায় প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

1h ago