ভর্তি জালিয়াতির দায়ে বহিষ্কৃত ঢাবি শিক্ষার্থী হলে, কক্ষ দখল নিয়ে উত্তেজনা ছাত্রলীগের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এস এম হলের শিক্ষার্থী মাসুদ রানাকে ভর্তি জালিয়াতির দায়ে আড়াই বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপরও তিনি হলের কক্ষে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন।
সম্প্রতি তিনি কক্ষটি ছেড়ে দেওয়ার পর সেটি দখল করতে রোববার দিবাগত রাতে হল ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
হল সূত্র জানায়, মাসুদ রানা ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এস এম হলের ২২ নম্বর কক্ষটি তিনি ছেড়ে দেওয়ার পর সেখানে হল ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর সিকদারের গ্রুপের এক শিক্ষার্থী থাকতে শুরু করেন।
কিন্তু হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকারও ওই কক্ষ দখলে রাখতে চাইলে তানভীর গ্রুপের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, রোববার রাত ১০টা থেকে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা এবং মারমুখো অবস্থান তৈরি হয়। অন্তত ২ ঘণ্টা এ উত্তেজনা চলমান ছিল।
জানা যায়, মাসুদ রানা আড়াই বছর আগে বহিষ্কৃত হলেও ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত হল ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি এম এম কামাল উদ্দীনের আশ্রয়ে হলে থাকতেন।
সম্প্রতি হল কমিটি দেওয়ার পর কামাল উদ্দীনের অনুসারীদের একটি অংশ সভাপতির গ্রুপে এবং আরেকটি অংশ সাধারণ সম্পাদক মিশাতের গ্রুপে যোগ দেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাবিতে ছেলেদের আবাসিক হলগুলোর বেশিরভাগ কক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কর্তৃত্ব বজায় রাখে। দীর্ঘদিন ধরে এ অভিযোগ থাকলেও, হল কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ তা অস্বীকার করে আসছেন।
জানতে চাইলে ছাত্রলীগের এস এম হলের সভাপতি তানভীর সিকদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কিছু ছোট ভাই একটি সিট নিয়ে বাকবিতণ্ডা করলে আমি ও সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে সমাধান করে দিয়েছি।'
এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো মুজিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার খবর শুনে হলের আবাসিক শিক্ষকদের ওই কক্ষের দিকে পাঠিয়েছি।'
বহিষ্কৃত মাসুদ রানার অবৈধভাবে হলে অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীr হলে থাকার খবরটি আমাদের জানা ছিল না। ঘটনাটি নিয়ে আমরা তদন্ত করে দেখব।'
Comments