কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভাঙন, লোকালয়ে জোয়ারের পানি

খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চরামুখা খালের গোঁড়ার উত্তর পার্শ্ব এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
ইতোমধ্যে ১৫০ মিটারের বেশি বাঁধ ভেঙে গেছে। ছবি: স্টার

খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চরামুখা খালের গোঁড়ার উত্তর পার্শ্ব এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।

আজ রোববার ভোররাত ৪টায় এ ভাঙন শুরু হয় এবং সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রায় ১৫০ মিটারের বেশি বাঁধ ভেঙে যায়।

বাঁধটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে সাতক্ষীরার পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ কার্যালয়। ওই কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পুর) মো. মশিউল আবেদীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জাইকার অর্থায়নে বাঁধটির নির্মাণকাজ চলছিল। সেখানে ভাঙনের কোনো সম্ভাবনা ছিল না। বাঁধের সামনে বেশ বড় সমতল চর ছিল।'

'আজ রাতে হঠাৎ করে নদী ভাঙন শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই ভাঙন বাঁধের দিকে এগিয়ে আসে। সকাল ৮টা পর্যন্ত বাঁধের ১৫০ মিটারের বেশি অংশ নদের গর্ভে চলে গেছে', বলেন তিনি।

মশিউল আবেদীন আরও বলেন, 'ভাঙনের পর স্থানীয়রা বাঁধে সংস্কার কাজ শুরু করেছিলেন। তবে ১১টার দিকে জোয়ারের পানি চলে আসে। তখন আর কাজ করা সম্ভব হয়নি। দুপুরের পর ভাটা শুরু হলে আবারও তারা সংস্কার কাজ শুরু করবেন। আমরা তাদের আর্থিক ও অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করব।'

প্রাথমিকভাবে পানি প্রবেশ রোধ করতে সেখানে রিং বাধ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, সকাল ১১টার দিকে নদে জোয়ার আসায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে লোকালয়ে।

দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ওসমান গনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই এলাকায় ভাঙনের ফলে আজ দুপুরে যে পরিমাণ পানি প্রবেশ করবে, তা প্রায় ৫টি গ্রামকে প্লাবিত করবে।'

'চরমুখা, দক্ষিণ বেদকাশি, মধ্যপাড়া, ঘড়িলালা ও রাতাখালি গ্রামের অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে যাবে। সেখানে প্রায় ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার মানুষ বসবাস করেন', যোগ করেন তিনি।

ওসমান গনি আরও বলেন, 'বিকেলের মধ্যে বাঁধ মেরামত করতে না পারলে, রাতের জোয়ারে পুরো দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হবে। এ ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করেন।'

Comments