নিচতলায় হাঁটুপানি, মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা চলছে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে

বন্যা পরিস্থিতিতে আজ শনিবার দুপুর থেকে সিলেট সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী ও চিকিৎসকরা।  
ছবি: স্টার

বন্যা পরিস্থিতিতে আজ শনিবার দুপুর থেকে সিলেট সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী ও চিকিৎসকরা।  

হাসপাতালের নিচতলা হাঁটুপানির নিচে আছে। এ অবস্থায় নিচতলার রোগীদের দ্বিতীয় তোলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। বিদ্যুৎ নেই, চলছে না মূল জেনারেটরও। ফলে মোমবাতি জ্বালিয়ে কোনোমতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে রোগীদের।

আজ বিকেলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল এবং হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, 'হাসপাতালের নিচ তলায় হাঁটু পানি। রোগীদের দ্বিতীয় তলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। দুপুর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে কোনোমতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মূল জেনারেটর রুমে পানি উঠায় জেনারেটর ব্যবহার করা যাচ্ছে না।'

ছবি: স্টার

'জরুরিভিত্তিতে বিকল্প ৩টি জেনারেটর আনা হয়েছে। এগুলো দিয়ে অপারেশন থিয়েটার ও আইসিইউর কাজ চালানোর চেষ্টা চলছে', যোগ করেন তিনি।  

হাসপাতালে ভর্তি ফারুক আহমেদ (৫৮) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিচতলায় ছিলাম। পানি উঠার পর অন্য রোগীদের সঙ্গে দ্বিতীয় তলার বারান্দায় চলে আসি। সেখানেই থাকছি। বিদ্যুৎ নেই, মোমবাতি দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা কীভাবে পাব বুঝতে পারছি না।'

আরেকজন রোগীর সঙ্গে আসা গীতা দাস বলেন, 'আমার স্বামী এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পানি উঠায় নিচতলা থেকে দ্বিতীয় তলায় এসেছি। এখানে যে অবস্থা দেখছি, তাতে রোগী নিয়ে অন্য কোথাও চলে যাব কি না ভাবছি।'

এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজও আজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, 'কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া আর সম্ভব হচ্ছে না। ছাত্রাবাসেও পানি উঠেছে। বিদ্যুৎ নেই। ফলে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ৬ দিনের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।'

ছাত্রাবাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

 

Comments