উত্তরের ৮ জেলায় জ্বালানি তেলের সংকট
দেশের উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় জ্বালানি তেলের পাম্পগুলোতে পেট্রল ও অকটেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন মটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দিনাজপুরসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় বর্তমানে ১৩৬টি ফিলিং স্টেশন আছে। এর সবগুলোতেই জ্বালানি তেল সরবরাহ আসে পার্বতীপুর ডিপো থেকে। কিন্তু পার্বতীপুর ডিপোতে মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় তেল সংকটে পড়েছে পাম্পগুলো।
অন্যদিকে পার্বতীপুর ডিপোর কর্মকর্তাদের ভাষ্য, তাদের তেলের যোগান আসে খুলনা থেকে। কিন্তু খুলনা থেকে তেল না পাওয়ায় তারা এখানকার পাম্পগুলোতে চাহিদা অনুসারে পেট্রল ও অকটেন দিতে পারছেন না।
আজ রোববার সকালে দিনাজপুরের কয়েকটি পাম্প ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ পাম্পে 'এখানে পেট্রল ও অকটেন নেই' সম্বলিত বোর্ড টানিয়ে রাখা। এর কয়েকটিতে ডিজেল মিললেও পেট্রল ও অকটেনের ফুয়েল মেশিনগুলো ঢেকে রাখা হয়েছে।
দিনাজপুরের পাম্প মালিকদের ভাষ্য, বেশ কিছুদিন ধরে এ অবস্থা চললেও ঈদের পর থেকে সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ডিজেলের পাশাপাশি দু'এক জায়গায় অল্প পরিমানে অকটেন থাকলেও পেট্রোল একেবারেই মিলছে না।
এ বিষয়ে দিনাজপুরের রহমান ব্রাদার্স নামের একটি পেট্রল পাম্পের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, 'দিনের পর দিন ধর্না দিয়েও আমরা পার্বতীপুর ডিপো থেকে পেট্রল ও অকটেন পাচ্ছি না।'
জানতে চাইলে পার্বতীপুর ডিপোর ইনচার্জ এমরানুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ডিপোতে গত ১ সপ্তাহ ধরে কোনো পেট্রল নেই।'
এ ব্যাপারে খুলনার মেঘনা অয়েল ডিপোর ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন ডেইলি স্টারকে জানান, ঈদের সময় জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকেও চাহিদা অনুসারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া তেল পরিবহনের জন্য রেলের ওয়াগন সংকটের কারণেও পার্বতীপুর পর্যন্ত তেল পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
তবে দু'এক দিনের মধ্যে এই সংকট কেটে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মোশারফ।
Comments