বাতাসের মান নিয়ে নিয়মিত হেলথ অ্যালার্ট জারির সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
বাতাসের মান নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে নিয়মিত হেলথ অ্যালার্ট জারির সুপারিশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সংসদ ভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের যে প্রযুক্তি আছে তাতে আজকের বায়ুর মানের পরিসংখ্যান আগামীকাল জানাতে পারি। এটা কোনো কাজে আসে না। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে মনিটরিং করা এবং মানুষকে যেন বিষয়টি তাৎক্ষনিক জানাতে পারি।'
'এর জন্য আমরা এটাকে ২-৩ মাসের মধ্যে লাইভ করতে বলেছি। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি,' বলেন তিনি।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, 'এটা সম্ভব হলে আমরা হেলথ অ্যালার্ট দিতে পারব। এতে করে মানুষ বাসা থেকে বের হবে কি না বা কোন এলাকায় তারা যাওয়া থেকে বিরত থাকবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।'
'এই হেলথ অ্যালার্ট দেওয়া নেতিবাচক কিছু নয়। পৃথিবীর সব দেশেই এটা হয়। এটা হলে মানুষ তার মুভমেন্টে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে,' যোগ করেন তিনি।
এছাড়া আগামী ১ মাসের মধ্যে ক্লিন এয়ার নীতিমালা কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকা চীনের উহান ও ভারতের নয়াদিল্লিকে পেছনে ফেলেছে। সম্প্রতি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফিয়ারিক পলিউশন স্টাডিজের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ৬ বছরে ঢাকায় মাত্র ৩৮ দিন বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া গেছে!
স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফিয়ারিক পলিউশন স্টাডিজের ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পরিচালিত এই সমীক্ষায় দেখে গেছে, এ সময়ে ঢাকার গড় একিউআই স্কোর ছিল ২১৯। একটি শহরের গ্রহণযোগ্য একিউআই স্কোর ০-৫০ এবং এ ক্ষেত্রে ঢাকার স্কোর 'অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর'।
সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বায়ু দূষণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩০ শতাংশ দূষণ হয় অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাস্তা কাটা ও নির্মাণ কাজের কারণে। এরপর ইটভাটা ও কলকারখানার ধোঁয়ায় ২৯ শতাংশ এবং যানবাহনের কালো ধোঁয়ার কারণে ১৫ শতাংশ বায়ু দূষণ হয়েছে। কীভাবে আমরা নিজেদের এই ভয়ঙ্কর অবস্থায় নিয়ে গেছি, তা কল্পনারও বাইরে। আরও ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, এই অবস্থাটা আমরা মেনে নিয়েছি। বছরের পর বছর ঢাকার একিউআই মানের অবনতি হওয়া সত্ত্বেও আমরা বায়ু দূষণ রোধ এবং এর কারণগুলো বন্ধ করতে তেমন কিছুই করিনি।
গত বৃহস্পতিবার এক সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূ
বনের ৭ হাজার ৩৯৫ একর জমি উদ্ধার
বনের বেদখলে থাকা ৭ হাজার ৩৯৫ একর জমি উদ্ধার হয়েছে বলে আজকের বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটিকে জানানো হয়েছে।
আগামী জুনের মধ্যে বন বিভাগকে আরও ১০ হাজার একর জমি উদ্ধারের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে, কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য বন বিভাগের জমির মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বেদখলে ছিল।
Comments