সুন্দরবন দিবসে ফসলি জমি রক্ষার দাবি

কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে ঢাকার শাহবাগে ছাত্র-যুব সমাবেশ হয়েছে। সুন্দরবন দিবসে আজ সকালে গ্রীন ভয়েস সংগঠনের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, নিরাপদ নৌ আন্দোলনের চেয়ারম্যান আমিনুর রসুল, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ প্রমুখ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালন করে।
সমাবেশে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, 'আইলা-সিডর থেকে সুন্দরবন দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষকে রক্ষা করেছে। আর এই বন ধ্বংসে সরকার ব্যস্ত। ফসলি জমি রক্ষায় ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে ভূমি ব্যবহার বিষয়ক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি উত্তোলন করার কাজে রাজনৈতিক ক্ষমতাবান, স্থানীয় টাউট ও প্রভাবশালীদের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। মাটি কাটার কাজে ব্যবহার করা যন্ত্র ও মাটি বহনকারী ট্রাকের কারণে গ্রামীণ রাস্তাগুলো নষ্ট হচ্ছে।
নিরাপদ নৌ আন্দোলনের চেয়ারম্যান আমিনুর রসুল বলেন, জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতিতে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, উর্বর জমি কোনোভাবেই অকৃষি কাজের জন্য যেমন: ব্যক্তিমালিকানাধীন নির্মাণ, গৃহায়ণ, ইটের ভাটা তৈরি ইত্যাদির জন্য ব্যবহার করা যাইবে না। এ নীতিমালার কোনো কথাই কেউ গ্রাহ্য করছে না। এভাবে কৃষি-ফসলি জমির মাটি কেটে গভীর গর্ত তৈরি, মাটির উর্বরতা বিনষ্ট করার কাজ চলতে থাকলে কৃষি জমি বিপন্ন হবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
সভাপতির বক্তব্যে গ্রীন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির চার দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবির মধ্যে আছে—ইটভাটা, টাইলস ফ্যাক্টরিতে কৃষি-ফসলি জমি খনন করে উত্তোলিত মাটি ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। কৃষি জমির উর্বরতা, শ্রেণি প্রকৃতি নষ্ট করে মাটি উত্তোলনের পরিবেশবিনাশী কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কৃষিজমি বিনষ্টকারী মাটিখেকো অপরাধী চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতির আওতায় কৃষি জমি সুরক্ষার জন্য প্রয়োগযোগ্য, বাস্তবানুগ আইন তৈরি করতে হবে।
Comments