অস্ট্রেলিয়ায় বাংলা ভাষার অবস্থান ২৪তম

অস্ট্রেলিয়া। ছবি: রয়টার্স

তাসমান সাগরপাড়ের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ৪২৯টি ভাষার জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাংলা ভাষাভাষীদের অবস্থান ২৪তম। সংখ্যার হিসাবে তা ৭০ হাজার ১১৬ জন।

অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (এবিএস) কর্তৃক প্রকাশিত ২০২১ সালের আদমশুমারিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এই তথ্য অনুসারে ২০২১ সালের আদমশুমারিতে অস্ট্রেলিয়ায় আড়াই কোটির বেশি মানুষকে গণনা করা হয়েছে। এবারের গণনায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, পরিবার, ঘরবাড়ি ও মহামারি চলাকালে দেশটি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে সেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

শুমারিতে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় মোট ৪২৯টি ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠী আছে। এর মধ্যে ১৮৩টিই এখানকার স্থানীয় আদিবাসীদের ভাষা। শীর্ষে আছেন ইংরেজিভাষীরা। দেশটির মোট ৭২ শতাংশ মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। এর পরেই আছে ম্যান্ডারিন, আরবি, ভিয়েতনামী, ক্যান্টোনিজ, পাঞ্জাবি ও গ্রিক।

এর আগে ২০১৬ সালের আদমশুমারিতে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার ৫৬৫ জন। সে হিসেবে গত ৫ বছরে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাভাষীদের সংখ্যা বাড়ার হার ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এ ছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অথচ বাংলায় কথা বলেন না এমন মানুষের সংখ্যা ২ হাজার ৩৬৪ জন।

এ ছাড়া ২০২১ সালের আদমশুমারিতে এই প্রথম চীন ও নিউজিল্যান্ডের উপরে উঠে এসেছে ভারতের অভিবাসীরা। ভারতে জন্ম নেওয়া কিন্তু কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন এমন মানুষের সংখ্যা ৬ লাখ ৭০ হাজারের বেশি। তা বাদে, নেপালে জন্ম নেওয়া অথচ অস্ট্রেলিয়ায় বাস করেন এমন মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২২ হাজারের অধিক। ২০১৬ সালের তুলনায় যা দ্বিগুণেরও বেশি।

অস্ট্রেলিয়া বাংলাভাষী অধ্যুষিত শহরতলীগুলোর ভেতর শীর্ষ ৫টিই নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে। এগুলো হলো লাকেম্বা, মিন্টো, ওয়ালি পার্ক, ম্যাকোয়েরি  ফিল্ডস ও ব্যাংকসটাউন। এর পরেই ভিক্টোরিয়া রাজ্যের টারনিটের অবস্থান।

এসব শহরতলী বা সাবার্বের ভেতর সিডনির লাকেম্বা বাংলাদেশিদের কাছে পরিচিত 'বাংলা টাউন' হিসেবে। আদমশুমারির তথ্য অনুসারে এখানে মোট বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বাস করছেন। আগের শুমারিতে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

বিপরীতে  

নিউ সাউথ ওয়েলসের মিন্টোতে বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে। অনেকেই নিজস্ব বাড়ি কিনে সেখানে বসবাস শুরু করেছেন। এখানে এই হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

12h ago