আমিরাতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক

অভিষিক্ত কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক বাংলাদেশের জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়সামিন। ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশীয় গণমাধ্যমে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই'র নতুন কমিটির অভিষেক ও চতুর্থ বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়েছে।

শুক্রবার রাতে অভিষেক আলোচনা, প্রবাসী সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে ৩ পর্বের বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়। প্রথম পর্বে অভিষিক্ত কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক বাংলাদেশে জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়সামিন। এরপর নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ।

সংগঠনের সভাপতি শিবলী আল সাদিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান জনির পরিচালনায় অভিষেক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর।

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। এসময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল সভাপতি মাহতাবুর রহমান নাসির, কমিউনিটি নেতা প্রকৌশলী জাফর চৌধুরী সিআইপি ও কমিউনিটি নেতা আইয়ুব আলী বাবুল সিআইপি, ওমান সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি হুমায়ুন কবির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি মুহাম্মদ মোরশেদ আলম।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, 'আমরা সাংবাদিকদের ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলি। স্বাধীনতা মানে যা ইচ্ছা তা লেখা নয়, যা ইচ্ছা তা বলা নয়। এরসঙ্গে দায়িত্বশীলতাকে যোগ করতে হবে। কারণ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করাই সাংবাদিককের স্বাধীনতা। প্রবাসী সাংবাদিকরা দেশ ও প্রবাসের একটি যোগসূত্র স্থাপন করেছেন। সঠিক তথ্যের পেছনে ছুটছেন। প্রবাসীদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ বেদনার কথা বলছেন। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথাও বলছেন। আমি আশা করি, প্রবাস থেকেও সাংবাদিকরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করবেন।'

বিএফইউজে'র মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, 'আমরা সাংবাদিকদের অধিকার, নিরাপত্তা ও মর্যাদার জন্য কাজ করি। ইতোমধ্যে সরকারিভাবে সাংবাদিকদের জন্য একটি আইন করা হয়েছে। এই আইনটি পরিবর্তনের জন্য সরকারের সঙ্গে আমরা লড়াই করছি। আমরা আশা করছি, বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় থাকতে সাংবাদিকদের স্বার্থবিরোধী, সাংবাদিকতার পরিপন্থী, মুক্তচিন্তায় বাধা দেয় এমন কোনো আইন বাংলাদেশে হবে না।'

রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর বলেন, 'সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সদস্যরা পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। এটি দূতাবাস ও কনস্যুলেটের প্রত্যাশা।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

7h ago