টোকিওতে করোনার সংক্রমণ অব্যাহত

সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ছবি: সংগৃহীত

টোকিওতে করোনাভাইরাসের বিস্তার অব্যাহত আছে বলে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানিয়েছেন।

গতকাল বুধবার নির্বাচন পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।

করোনার চলতি ঢেউ মোকাবিলায় বিগত দিনগুলোর মতো জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী কিশিদা।

তিনি বলেন, 'মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে টোকিওতে। গতকাল বুধবার ১৬ হাজার ৮৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা এর আগের বুধবারের চেয়ে ৮ হাজার ৫৩৭ জন বেশি।'

'প্রতিদিন প্রায় দ্বিগুণ হারে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৯ দিন ধরে সংক্রমণের বিস্তার অব্যাহত আছে,' বলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার টোকিওতে ১৬ হাজার ৬৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা এর আগের দিনের চেয়ে ২১৬ জন কম। তবে, টানা ৩ দিন ধরে সংক্রমণ ১০ হাজারের বেশি।

কিশিদা আরও বলেন, '১০ জুলাই নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছি। কিন্তু অন্তরে গভীর ক্ষত নিয়ে অনুভব করতে হচ্ছে যে, এই নির্বাচন প্রচারণায় আমাদের নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে যিনি এই কার্যালয়ের তথা জাপানে একটানা ৮ বছর ৮ মাস নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাকে অপ্রত্যাশিতভাবে ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী ঘটনায় জীবন দিতে হয়েছে। এটা শান্তিপ্রিয় জাপানের ইমেজকে বিশ্ব দরবারে প্রশ্নের সম্মুখীন করে তুলেছে। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।'

তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের কল্যাণে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য উচ্চকক্ষের আসন জয়লাভ করার ম্যান্ডেট জাপানি জনগণ আমাদের দিয়েছেন। এ জন্য আমি আমার দল ও জোটের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এই মুহূর্তে পরিকল্পনা গ্রহনে আমাদের দরকার ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের পরামর্শ। হত্যাকাণ্ডের শিকার প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ইচ্ছা ছিল সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি। তিনি তা দেখে যেতে পারলেন না।'

ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ নিয়ে কিশিদা বলেন, 'জি-৭ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে জাপান কাজ করে যাচ্ছে। জি-৭ এর আগামী সম্মেলনে ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে এবং জাপান বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখবে।

এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। বেশিরভাগ প্রশ্ন ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবেকে নিয়ে। সংবাদ সম্মেলন কক্ষে কিশিদা কালো ব্যাজ ধারন করেন।

[email protected]

Comments

The Daily Star  | English
problems faced by Bangladeshi passport holders

The sorry state of our green passports

Bangladeshi passports are ranked among the weakest in the world.

6h ago