টোকিওতে জাপান-বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

টোকিওতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসা। ছবি: সংগৃহীত

টোকিওতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ২ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ১১-১৫ এপ্রিল পালাওয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মহাসাগর বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে টোকিওতে বিরতির সময় এই বৈঠক করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বছরব্যাপী কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনে আয়োজিত নানা অনুষ্ঠান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি ২ দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি জাপান-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে।

বৈঠকে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসা জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

হায়াশি বলেন, উভয় দেশ এ বছর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে। এটি একটি মাইলফলক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, জাপান করোনার টিকা দিয়ে সহায়তা করায় বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গে করোনা মহামারি মোকাবিলা করেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পাশে থাকায় জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

২ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও মতবিনিময় করেন এবং তারা একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

হায়াশি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর ও মানবিক সহায়তা প্রদানসহ বাংলাদেশের নেওয়া নানা উদ্যোগকে জাপান স্বাগত জানায়।

এ সময় আব্দুল মোমেন বাংলাদেশকে সহায়তার পাশাপাশি এ সমস্যা নিরসনে জাপানের প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ জানান এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানে জাপানের আরও সম্পৃক্ততার প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।

২ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু এবং বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বৈশ্বিক ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন।

এ ছাড়াও, ২ পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানান বহুপাক্ষিক ফোরামের ভবিষ্যৎ প্রার্থীতা নিয়েও আলোচনা করেন এবং একে অপরকে সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

[email protected]

Comments

The Daily Star  | English

After OCs, EC orders to transfer UNOs

In the first phase, it asked to transfer all UNOs who have been working in their respective upazilas for more than a year

1h ago