নিউজিল্যান্ডের অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব সহজ করবে অস্ট্রেলিয়া

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আচরণ সংক্রান্ত একটি সমস্যা সমাধানের দিকে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন। ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আচরণ সংক্রান্ত একটি সমস্যা সমাধানের দিকে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন।

শুক্রবার সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন। বৈঠকে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব পেতে সহজ করার বিষয়টি প্রাধান্য পায়।

অ্যান্টনি আলবানিজ এ সময় বলেন, তার সরকার নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের সহজে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য কাজ করতে চায়।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন বলেন, নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের জন্য 'স্থায়ী ও অস্থায়ী' এভাবে বিভাজন করা উচিত নয়।

বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন,  'আমরা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়েছি যে, নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা অস্ট্রেলিয়ার সেরা অভিবাসী। অস্ট্রেলিয়ায় নিউজিল্যান্ডেররা যে ভূমিকা পালন করেন, তাকে আরও বেশি স্বীকৃতি দেওয়ার অনুরোধ ছিল আমাদের।'

আগের স্কট মরিসন সরকার নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন বলে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৬৬ জন নিউজিল্যান্ডের নাগরিককে অস্ট্রেলিয়া থেকে নির্বাসিত করা হয়। মাইগ্রেশন অ্যাক্টের ৫০১ ধারা ব্যবহার করে তাদের বের করে দেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়ার মাইগ্রেশন অ্যাক্টের ৫০১ ধারাকে জ্যাসিন্ডা আরডার্ন একটি বিতর্কিত ধারা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়ায় আরও বেশি অধিকারের স্বীকৃতি প্রদর্শন করা হবে।'

'আমরা চাই না তারা চিরকালের জন্য অস্থায়ী বাসিন্দা হোক। আমরা নাগরিকত্বের বিষয়টির জন্য কাজ করব', তিনি যোগ করেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের ভোটের অধিকার পাওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে চায়।

 

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments