পর্তুগালে বাংলাদেশিদের ঈদুল আযহা উদযাপন

চলমান স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ মেনে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পর্তুগালে ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। মহামারিকালেও ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। তবে, কুশল বিনিময়ের সময় কোলাকুলি করা থেকে বিরত ছিলেন সবাই।
পর্তুগালে ঈদুল আযহার নামাজে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ছবি: স্টার

চলমান স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ মেনে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পর্তুগালে ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। মহামারিকালেও ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। তবে, কুশল বিনিময়ের সময় কোলাকুলি করা থেকে বিরত ছিলেন সবাই।

প্রতিটি জামাত শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ এবং করোনা মহামারি থেকে রক্ষার জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে ছয়টি এবং মাত্রিম মনিজ জামে মসজিদে ১০টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে মাওলানা অধ্যাপক আবু সাইদ এবং মাত্রিম মনিজ জামে মসজিদে মাওলানা আলাউদ্দিন প্রথম জামাত পরিচালনা করেন।

জামাতে অংশগ্রহণকারী সবাইকে বাধ্যতামূলক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট অথবা কোভিড-১৯ ডিজিটাল সাটিফিকেট দেখাতে হয়েছে।

বড় এই দুই মসজিদের ঈদ জামাতে বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্তান ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রায় তিন হাজার অভিবাসী মুসল্লি অংশ নেন।

পর্তুগালে ঈদুল আযহায় উৎসবমুখর পরিবেশ। ছবি: স্টার

এ ছাড়াও, লিসবন সেন্ট্রাল জামে মসজিদে তিনটি জামাত, অদিভেলাস আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) জামে মসজিদে তিনটি ঈদের জামাত, সাকাভেমে দুটি, ওডিমিরার বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বন্দরনগরী ও বাণিজ্যিক শহর পোর্তোতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত হামজা (রা.) মসজিদে দুটি এবং পোর্তো সেন্ট্রাল মসজিদে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

লিসবনের পার্শ্ববর্তী শহর কাসকাইসে খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া আলগাভ অঞ্চলের ভিলা নোভা মিলফনটেসে ও খোলা মাঠে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

পর্তুগালের বিভিন্ন শহরের নামাজগুলোতে বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারাও অংশ নেন।

Comments