প্যারিসে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি নিহত

সোহেল রানা। ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

আহত হয়ে ৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় ভোরে তিনি মারা যান।

নিহত সোহেল রানা গত শনিবার ভোরে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের সোহেল রানা দীর্ঘদিন থেকে স্ত্রী ও এক শিশু সন্তানসহ প্যারিসে বসবাস করছিলেন। তিনি প্যারিসে বাস্তিল এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ভোরে কাজ শেষ করে প্রতিদিনের মতো মেট্রোতে চড়ে বাসায় ফিরছিলেন সোহেল রানা। সেসময় দুর্বৃত্তরা তার পথ আটকায়। এরপর তাকে মেট্রো থেকে নামিয়ে মারধর করে।

এক পর্যায়ে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। মাথায় মারাত্মক জখম হওয়ায় তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এই অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।

এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসার পরও তার জ্ঞান ফেরেনি। গতকাল তিনি মারা যান।

সোহেল রানার ওপর হামলার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় প্যারিসে চুরি-ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, সোহেল রানার কাছ থেকে মোবাইল, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তার ওপর হামলা চালানো হয়।

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্যারিস পুলিশ। তবে তার হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি। ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। তারা তা পর্যালোচনা করে দেখছে।

সোহেল রানার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হবে।

তার মৃত্যুতে ফ্রান্সপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা ফেসবুকে পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে #JusticePourSohelRana, এবং #PréfecturedePolice লিখে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

8h ago