প্যারিসে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

ফ্রান্সে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত বাংলাদেশি সোহেল রানা হত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশিদের উদ্যোগে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ মিছিল ।
প্যারিসের প্লাস দুলা বাস্তিল এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত বাংলাদেশি সোহেল রানা হত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশিদের উদ্যোগে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ মিছিল ।

গত ২১ মে ভোরে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার সময় বাস্তিল এলাকায় দুবৃর্ত্তদের হামলার শিকার হন সোহেল রানা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ মে তিনি মারা যান।

গতকাল রোববার সোহেল রানার ওপর হামলার ঘটনাস্থল প্যারিসের প্লাস দুলা বাস্তিল থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। শেষ হয় রিপাবলিক চত্বরে গিয়ে। এ সময় নানা শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরাও প্রতিবাদে সামিল হন।

মিছিল ও সমাবেশ থেকে 'সোহেল হত্যার বিচার চাই' স্লোগান তোলেন প্রবাসীরা। দ্রুত সোহেল রানা হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা ও হামলা বন্ধে প্রশাসনকে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।

প্যারিসে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত বাংলাদেশি সোহেল রানার নিহতের প্রতিবাদে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

সমাবেশে প্রবাসী সংগঠকরা বলেন, বিভিন্ন সময়ে ভিনদেশি দুষ্কৃতকারীরা প্রবাসীদের ওপর হামলা করে। কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানাতে পারি না। আজকে এই এক জায়গায় আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি এবং আজকে আমরা প্যারিসের পুলিশকে জানান দিতে পেরেছি যে, আমাদের একজন ভাইকে হত্যা করা হয়েছে এবং তারা সুষ্ঠু বিচারের জন্য তদন্ত দ্রুত শেষ করবে। 

দৃষ্টান্তমূলক বিচারের পাশাপাশি সোহেল রানার স্ত্রী এবং সন্তানকে দেশে থাকার বৈধতা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষের কাছে দাবিও জানান প্রবাসী সংগঠকরা।

অন্যতম সমন্বয়ক স্তা -মেরির কাউন্সিলর কৌশিক রাব্বানী, ফ্রান্সের এসন বিভাগের কাউন্সিলর এন কে নয়ন, আওয়ামী লীগ নেতা শাহা আলম মায়া, ভিলা জামে মসজিদের খাদেম সালেহ আহমদ, যুবলীগ  নেতা দবির মোহাম্মদ, প্রবাসী সংগঠক মোহামদ নূর ও  তায়েফ আহমদসহ বিভিন্ন প্রবাসী সংগঠনেরতারা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

সোহেলের মৃত্যুর ঘটনায় রেস্টুরেন্টের মালিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনতে প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাস গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে।

সোহেল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের মো. আজিজুল হক সরকারে ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। এক দশকের বেশি সময় ধরে প্যারিসে বাসবাস করে আসা সোহেল বাস্তিলের একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। তার স্ত্রী ও তিন বছরের একটি ছেলে আছে।

 

Comments