যেমন আছি প্রবাসে

বাহরাইনে কিছু প্রবাসী শ্রমিক। প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

প্রবাস জীবন নিয়ে লিখলে চোখ ছলছল করে। মা–বাবা, আত্মীয়-স্বজন রেখে একলা প্রবাস জীবনে পড়ে আছি জীবিকার তাগিদে। নিজে কেমন আছি সেটা ভাবার আগে ভাবি, বাড়িতে সবাই ভালো আছে কিনা। যত ব্যস্তই থাকি, দিনে দু-একবার বাড়ির সবার খোঁজ না নেওয়া পর্যন্ত ঘুম হয় না।

প্রবাস জীবনের উত্থান-পতন নিয়ে লিখলে অনেক বড় হয়ে যাবে, তবুও লেখা শেষ হবে না।

আমরা বাংলাদেশিরা কতটা পরিশ্রমী, বিদেশে না আসলে বুঝতেই পারতাম না। দিন-রাত খেটে যা পাই, সব দেশে পাঠিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলি।

মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। ছবি: লেখকের সৌজন্যে

নতুন প্রবাসীদের মধ্যে বড় একটা অংশ নিজ দেশের ভাইদের দ্বারা প্রতারিত হয়, যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। সামান্য কিছু টাকার জন্য আমরা ধার-দেনা করে জমি বন্ধক দিয়ে প্রবাসে আসার টাকা জোগাড় করি। সেই টাকা নিজ দেশেরই কিছু দালাল আত্মসাৎ করে আমাদের পথে নামিয়ে দেয়। তখনই শুরু হয় ভয়াবহ এক জীবনের।

আরব দেশের মানুষ সম্পর্কে যদি কিছু বলি, মানুষ হিসেবে তারা খুব চমৎকার। কে কোন ধর্মের—এই ব্যাপার নিয়ে কোনো প্রবাসী কখনো চাকরি বা পেশাগত জীবনে কোনো ধরণের বৈষম্যের শিকার হননি।

২০১৪ সালের নভেম্বরে প্রবাস জীবনে পাড়ি জমিয়েছি। জীবনে অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি, সচেতন হয়েছি। এখন ভালো আছি, প্রতি মাসে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতি সচল রাখছি। কারণ, আমি বাংলাদেশি, দেশকে অনেকে ভালোবাসি।

Comments

The Daily Star  | English

The rickshaw debate

For some, the battery-run vehicles are a time-efficient and cost-effective blessing; for others, they are a dangerous disruption to the already precarious traffic system.

11h ago