আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা রাশিয়ার

২০২৪ সালের পর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) অংশীদারত্ব থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস)। ছবি: ওয়ালেস অনলাইন

২০২৪ সালের পর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) অংশীদারত্ব থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাশিয়ার স্টেট স্পেস করপোরেশন 'রসকসমসের' নতুন প্রধান ইউরি বোরিসভ এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এই কথা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তাসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, বোরিসভ বলেছেন, 'ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ, আপনি জানেন যে আমরা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামোর আওতায় থেকে কাজ করছি।'

'অবশ্যই, আমরা আমাদের অংশীদারদের প্রতি সব বাধ্যবাধকতা পূরণ করব। তবে, ২০২৪ সালের পরে স্টেশনটি ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে', বলেছেন বোরিসভ।

সিদ্ধান্তটি আপাতদৃষ্টিতে বোরিসভের সাম্প্রতিক পূর্বসূরি দিমিত্রি রোগোজিনের দেওয়া বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি। যিনি ইউক্রেন আক্রমণের আগে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ার আইএসএস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা বক্তব্য রেখেছিলেন।' 

ওই বিবৃতিগুলো কিছুটা সন্দেহজনক ছিল, যদিও রোগজিনের অভ্যাস ছিল উদ্ভট বক্তব্য দেওয়া এবং রসকসমস কীভাবে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ নেবে সে বিষয়ে হুমকি দেওয়া। 

আজ মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সে (আইএসএসআরডিসি) নাসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন যে, রসকসমস থেকে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।  

তবে, নাসার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পরিচালক রবিন গ্যাটেনস সম্মেলনের একটি প্যানেলে বলেছেন, 'আমরা আমাদের অংশীদারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য পাইনি।' 

তিনি আরও জানান, যে নাসা পরিকল্পনাটি এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

3h ago