গ্রাহকদের কাছে ইভ্যালির দায় ৫৪৪ কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত

গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের কাছে ইভ্যালির মোট ৫৪৪ কোটি টাকার দায় আছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ই-কমার্স ডেস্কের প্রধান হাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, বস্তুগত ও অবস্তুগত মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫৪৪ কোটি টাকার সম্পদ আছে।

হাফিজুর রহমান বলেন, '৫৪৪ কোটি টাকার মধ্যে, গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত ১০৫ কোটি টাকার বস্তুগত সম্পদ আছে বলে দাবি করেছে ইভ্যালি। এছাড়া ব্র্যান্ড ভ্যালু ও অন্যান্য অবস্তুগত সম্পত্তির হিসেবে বাকি ৪৩৯ কোটি টাকার হিসাব দেখানো হয়েছে।'

গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের কাছে ইভ্যালির দায়, সম্পদের পরিমাণ এবং কীভাবে দায় মেটানো হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কারণ দর্শানোর জন্য ইভ্যালিকে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নোটিশের জবাবে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া নথিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালিকে তিন কিস্তিতে তাদের নথি জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়ায়, ইভ্যালি আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের নথিপত্র ও অ্যাকাউন্টগুলোর বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে পারবে।

'কোম্পানির বর্তমান সম্পদ দিয়ে গ্রাহকদের দায় মেটানো সম্ভব নয়', বলে মন্তব্য করেন হাফিজুর রহমান।

প্রথম পর্যায়ের নথিতে ইভ্যালি নতুন কোনো বিনিয়োগের পরিকল্পনা দেখায়নি বলেও জানান হাফিজুর রহমান। যিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন সেলেরও প্রধান।

সম্প্রতি দেশীয় প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ ইভ্যালিকে রক্ষায় এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে হাফিজুর রহমান বলেন, 'যমুনার সঙ্গে বিনিয়োগের আলোচনা সম্পন্ন হলে ইভ্যালি পরবর্তীতে তার নথি জমা দিতে পারবে।'

তিনি জানান, অপর একটি ই-কমার্স কোম্পানি ই-অরেঞ্জের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।'

গত ১৯ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালিকে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে ইভ্যালি কীভাবে তার গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের কাছে তার দায় নিষ্পত্তি করবে সে বিষয়ে ১ আগস্টের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

শেষ সময়ে এসে ইভ্যালি তার জবাব দিয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নোটিশের জবাবে ইভ্যালি জানিয়েছে, ইভ্যালি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে তাদের কোম্পানির মূল্য নির্ধারণ ও আর্থিক বিবৃতি তৈরি করতে চেয়েছিল। এ কারণে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানাতে তাদের ছয় মাস সময় প্রয়োজন।

গত ১১ আগস্ট, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে তিন সপ্তাহের সময় পায়।

Comments

The Daily Star  | English

Monsoon, depression over Bay: Thousands suffer in coastal districts

People suffered due to waterlogging in Cox's Bazar, Patuakhali, Feni, Bhola, Barishal, and Khulna

8h ago