চট্টগ্রামে সাধারণের নাগালের বাইরে সবজির দাম

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সবজির দাম এখনো সাধারণের নাগালের বাইরে। বাজারে শীতকালীন সবজি উঠলেও দাম কমেনি এখনো।
শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং নিম্নআয়ের মানুষের জন্য অতিরিক্ত বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, তারা ইতোমধ্যে চাল এবং ভোজ্য তেলের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভুগছেন।
সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন উপজেলায় ৩ দিনের টানা বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরসঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। ফলে ডিসেম্বর সবজির মৌসুম হলেও বাজারে শাকসবজির দাম বেড়েছে।
কাজির দেউরি সবজি বাজার, চকবাজার সবজি বাজার, কর্ণফুলী সবজি বাজার এবং বহদ্দারহাট সবজি বাজারসহ শহরের বিভিন্ন রান্নাঘর বাজারে শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, বেশিরভাগ সবজির দাম ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
যেমন- চকবাজার সবজি বাজারে এক কেজি করোলা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি বেগুন ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বহদ্দারহাট সবজি বাজারে এক কেজি ঢেড়স ৪০ টাকা এবং বিভিন্ন শীতকালীন সবজি ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারে এক কেজি বরবোটি ৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
কর্ণফুলী সবজি বাজারে এক কেজি ঝিঙে ৫০ টাকা এবং কচুর লতি কেজি প্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কর্ণফুলী সবজি বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, বৃষ্টির কারণে সবজির খেতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া জ্বালানি তেলের বৃদ্ধির পর পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির কারণে আমাদের সবজি পরিবহন খরচ বেড়েছে। তাই সবজিরও দাম বেড়েছে।
চকবাজার দিনমজুর আলী আব্বাস বলেন, আমি দিনে ২৫০ টাকা উপার্জন করি। কিন্তু, প্রতিদিন পরিবারের জন্য ২ কেজি চাল, প্রায় ২ কেজি সবজি ও আধা কেজি ডাল কিনতে হয়।
তিনি আরও বলেন, 'আমাকে চালের জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হয়। শাকসবজির জন্য ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং বাকি টাকা দিয়ে ডাল কিনতে আমাকে অসুবিধা পড়তে হয়।'
বহদ্দারহাট এলাকার স্কুলশিক্ষক তৃষ্ণা আচার্জি জানান, ১০ বছর আগে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়। ৪ সদস্যের পরিবারের রক্ষণাবেক্ষণ আমাকে করতে হয়।
তিনি বলেন, 'শাকসবজির দাম বৃদ্ধি আমার জন্য দ্বিগুণ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, চালের দাম বাড়ার পর আমি ইতোমধ্যে পরিবার নিয়ে সংগ্রাম করছি।'
Comments