বরিশালে কোরবানির চামড়ার পরিমাণ ও দাম দুটোই কম
বরিশাল নগরীতে এ বছর সংগ্রহ করা কোরবানির পশুর চামড়ার পরিমাণ ও দাম দুটোই আগের বছরগুলোর তুলনায় কম বলে মনে করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী, পাইকার ও আড়তদারেরা।
আজ বুধবার নগরীর পদ্মাবতী এলাকা, পোর্ট রোড ও কীর্ত্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত চামড়া কেনা-বেচার আড়তগুলোতে ঘুরে এবং সেখানকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।
কবির হোসেন নামের একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পাইকারদের কাছে তিনি ৩০টি বড় আকারের গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র নয় হাজার টাকায়।
বেশি দাম না পাওয়ায় এবার বেশিরভাগ গৃহস্থ চামড়া বিক্রি না করে মসজিদ, মাদ্রাসায় দান করেছেন বলে জানান তিনি।
এ বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট কাঁচা চামড়ার দাম ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে চামড়া ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে দেখা যায়, সেখানে ফুট হিসেবে চামড়া কেনা হচ্ছে না। বড় আকারের একেকটি চামড়ার দাম রাখা হচ্ছে পাঁচশ টাকার মধ্যে। আর মাঝারি আকারের একেকটি চামড়া কেনা হচ্ছে দুইশ টাকা করে। আর, প্রতিটি ছাগলের চামড়া বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে।
ব্যবসায়ী কেরামত আলী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত বছর তিনি ও তার ভাগ্নে নাসির ছয় হাজার পিস গরুর চামড়া কিনেছিলেন। এবার অর্থ সংকটের জন্য চার হাজার পিসের বেশি কিনতে পারবেন না।
আরেক ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান মাসুম জানান, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পাঁচ বছর আগের টাকাও এখনও পাওনা আছে। এবার কয়েকটা ট্যানারি দশ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও, তা পাওয়া যায়নি। তাই, তিনিও প্রত্যাশা অনুযায়ী চামড়া সংগ্রহ করতে পারছেন না।
মাসুম জানান, গত বছর বরিশালের বাজার থেকে প্রায় ১৫ হাজার পিস কাছাকাছি চামড়া সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। এবার অন্তত ২০ শতাংশ চামড়া কম পাওয়া যাবে।
করোনা মহামারি ও আর্থিক সঙ্কটের কারণে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
বরিশাল হাইডস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাচ্চু মিয়ার বক্তব্য, ‘স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের বেধে দেওয়া দাম অনুযায়ী চামড়া কেনা সম্ভব হয় না। কারণ এসব চামড়ায় অনেক ত্রুটি থাকে।’
জানতে চাইলে বরিশাল বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের দীপক রঞ্জন রায় জানান, গত বছর বরিশালে প্রায় পাঁচ লাখ পশু কোরবানি হয়েছিল। এবারেরটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
Comments