‘মেড ইন বাংলাদেশ’ আসবাবপত্র ব্যবহার করে যে সব দেশ

আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশে তৈরি আসবাবপত্রের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে এবং এই চাহিদার উপর নির্ভর করেই বাংলাদেশ ২০২১-২২ অর্থবছরে ১১০ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের আসবাবপত্র রপ্তানি করে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
স্টার ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশে তৈরি আসবাবপত্রের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে এবং এই চাহিদার উপর নির্ভর করেই বাংলাদেশ ২০২১-২২ অর্থবছরে ১১০ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের আসবাবপত্র রপ্তানি করে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

এটি আগের অর্থবছরের ৭৯ মিলিয়ন ডলারের আসবাবপত্র রপ্তানির তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরের ৩১ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২৫৫ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬২টি দেশে আসবাবপত্র রপ্তানি করেছে।

গত অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি ৫৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের আসবাবপত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়েছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ মিলিয়ন ডলারের আসবাবপত্র রপ্তানি করা হয় জাপানে এবং ফ্রান্সে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের আসবাবপত্র পাঠানো হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত বাংলাদেশি আসবাবপত্রের বৃহত্তম আমদানিকারক। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের আসবাবপত্র রপ্তানি করা হয়।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণে আসবাবপত্র রপ্তানি করা হয়েছিলো ভুটানে, যার মূল্য ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

মধ্যপ্রাচ্যেও যায় বাংলাদেশি আসবাবপত্র। সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের আসবাবপত্র আমদানি করেছে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আমদানি করেছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ২৬৭ ডলার সমমূল্যের আসবাব।

ইউরোপের শুধু ফ্রান্স নয়, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, পোল্যান্ড এবং সুইডেনও ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের আসবাবপত্র আমদানি করেছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়া থেকে শুরু করে ফুটবলপ্রেমী ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেন, ইতালি, চিলি, কলম্বিয়ার জনগণও বাংলাদেশের আসবাবপত্র ব্যবহার করে।

Comments