‘কাজলরেখা’য় কঙ্কন দাসীর চরিত্রে মিথিলা

মডেলিং ও টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। নতুন সিনেমা 'কাজলরেখা'র শুটিং শুরু করবেন শিগগিরই। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার অভিনিত 'অমানুষ' চলচ্চিত্রটি। 'জলে জ্বলে তারা' সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন কয়েকদিন আগে। অন্যদিকে কলকাতায় মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আরও একটি চলচ্চিত্র।
মিথিলা তার বর্তমান কাজ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।
'কাজলরেখা' চলচ্চিত্রে কোন চরিত্রে অভিনয় করছেন?
মিথিলা: কঙ্কন দাসী চরিত্রটি করতে যাচ্ছি। 'কাজলরেখা' সিনেমার গল্প পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম আমাকে শুনিয়েছিলেন দুই বছর আগে। তিনি বলেছিলেন, কোন চরিত্রটি আমার পছন্দ। আমি গল্প শুনে বলেছিলাম, কঙ্কন দাসীর চরিত্রটি পছন্দ। তারপর পছন্দের চরিত্রটি করছি। কাজলরেখায় কঙ্কন দাসী হয়ে আসছি আমি।
৪০০ বছর আগের গল্প, কতটা চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে?
মিথিলা: ভালো কাজে চ্যালেঞ্জ সব সময়ই থাকবে। ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে এই সিনেমার কাহিনী। একটা সময়ে মানুষের মুখে মুখে এই কাহিনী শোনা যেত। বহু বছরের গল্প হলেও বাঙালিরা কাজলরেখার সঙ্গে অনেক পরিচিত। সেজন্য সিনেমাটির প্রতি দর্শকদের বাড়তি আগ্রহ যেমন থাকবে, একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমারও অভিনয়ের প্রতি বাড়তি মনোযোগ থাকবে।
কঙ্কন দাসী চরিত্র নিয়ে জানতে চাই?
মিথিলা: কঙ্কনের বিনিময়ে কেনা হয় বলে নাম হয়ে যায় কঙ্কন দাসী। কঙ্কন দাসী অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী একজন নারী, ভীষণ বুদ্ধিমতীও। এই চরিত্রে অভিনয়ের অনেক সুযোগ রয়েছে।
নতুন একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের কথা শোনা যাচ্ছে?
মিথিলা: হইচইয়ের একটি নতুন ওয়েব সিরিজের শুটিং শেষ করেছি। ওয়েব সিরিজটির নাম 'মন্টু পাইলট'। এটা অবশ্য সিজন টু। পরিচালনা করেছেন দেবালয় ভট্টাচার্য। 'মন্টু পাইলট' সিজন ওয়ান বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কলতাকার রাস্তায় রাস্তায় এটার বিলবোর্ড আছে। সিজন টু জনপ্রিয়তা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
অমানুষ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে কবে?
মিথিলা: মুক্তির জন্য সবকিছু ঠিক ছিল। কিন্ত কোভিডের ভয়াবহতা মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেয়। এখন তো কোভিডের সংক্রমণ কমেছে। আশা করছি মুক্তি পাবে। কলকাতায় 'নীতিশাস্ত্র' নামের একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। দুই দেশে দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
এ ছাড়া 'জলে জ্বলে তারা' সিনেমার শুটিং শেষ করেছি।
এবারের বই মেলায় আপনার নতুন একটি বই প্রকাশিত হয়েছে?
মিথিলা: আমার লেখা বইটির নাম 'আফ্রিকায় সিংহের খোঁজে'। নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হবে আগামীকাল শনিবার বইমেলায় সোহরাওয়ার্ধী উদ্যানের শিশু চত্বরে। এই বইটি মূলত শিশুদের জন্য। শিশুদের ভালো লাগলেই আমি খুশি। ৫ বছর বয়স থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এই বই। ওই বয়সী বাচ্চাদের মা-বাবারা যেন বইটি পড়ে শোনান।
আমি ও আমার মেয়ে আইরা বহু দেশ ঘুরেছি। দুজনে মিলে তানজানিয়ায় গিয়েছিলাম। সেখানকার একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি এই বইয়ে।
Comments