চ্যালেঞ্জার নেই ১১ বছর

নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করে সব বয়সী দর্শকের মন জয় করেছিলেন চ্যালেঞ্জার। শতাধিক টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করা এই শিল্পীর শুরুটা হয়েছিল ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে।
২০১০ সালের ১২ অক্টোবর মাত্র ৫১ বছর বয়সে মারা যান চ্যালেঞ্জার। তার মৃত্যুর ১১ বছর পার হয়ে গেল।
নন্দিত কথাশিল্পী, চলচ্চিত্রকার ও নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে অভিনয়ে এসেছিলেন চ্যালেঞ্জার। নাটকটির নাম ছিল 'হাবলংগের বাজারে'। হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত বেশিরভাগ নাটকের পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। সাবলীল অভিনয় দিয়ে অল্প দিনের মধ্যেই অর্জন করেছিলেন ব্যাপক পরিচিতি।
হুমায়ুন আহমদের 'দুই দুয়ারি' চ্যালেঞ্জারের প্রথম সিনেমা। এ ছাড়াও 'নয় নম্বর বিপদ সংকেত', 'দারুচিনি দ্বীপ', 'শ্যামল ছায়া', 'কাল সকালে', 'লাল সবুজ' সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
হুমায়ুন আহমেদের জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক 'উড়ে যায় বকপক্ষী' চ্যালেঞ্জারের অভিনয় ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। খোয়াবনগর, চোর, মন্ত্রী মহোদয়ের আগমন, পিচাশ মকবুল, আজিজ সাহেবের পাপ, শওকত সাহেবের গাড়ি কেনা, আজ জরির বিয়ে, জুতা বাবা, ওয়ারেন্ট, গণি সাহেবের শেষ কিছুদিন, সালেক দফাদার, অনাথ বাবুর ভয়, যমুনার জল দেখতে কালো, চন্দ্র কারিগর, কালা কইতর, লীলাবতী, রূপালী রাত্রি, এই বর্ষায় নাটকগুলো তাকে এনে দিয়েছিল জনপ্রিয়তা।
সালাহউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় বেশ কয়েকটি নাটকে দেখা গেছে তাকে। এই পরিচালকের 'ভবের হাট' ধারাবাহিক নাটকটি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল।
এএসএম তোফাজ্জল হোসেন অভিনয় করতে এসে হয়ে যান চ্যালেঞ্জার। তার ডাক নাম সাদেক।
চ্যালেঞ্জারের ছোট বোন অভিনেত্রী মনিরা মিঠু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চ্যালেঞ্জার ভাইয়ের জন্যই আমার অভিনয়ে আসা। ভাইকে কতটা মনে পড়ে, কতটা মিস করি—তা বলে শেষ করা যাবে না। প্রতিদিন ভাইকে মনে পড়ে। যখনই ভাবি ভাই নেই, কষ্টটা বেড়ে যায়।'
সালাহউদ্দিন লাভলু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ন্যাচারাল অভিনয় করার ক্ষমতা ছিল চ্যালেঞ্জারের। ক্যামেরার সামনে তিনি পুরোপুরি শিল্পী। অভিনয়ের ভাষাটা সহজেই ধরতে পেরেছিলেন তিনি।'
চঞ্চল চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চ্যালেঞ্জার ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ আমার হয়েছিল। সহজাত অভিনয়ের ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছিলেন তিনি। আফসোস তিনি বেশি দিন বাঁচলেন না। এ দেশের নাটকে তার প্রয়োজন ছিল।'
Comments