কোথাও টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে না: মিশা সওদাগর
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন মিশা সওদাগর। অন্য প্যানেলে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছে ইলিয়াস কাঞ্চন।
আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের কাছে নিজের অবস্থান, প্রত্যাশা, পরিকল্পনা, ব্যর্থতা নিয়ে অকপটে বললেন মিশা সওদাগর।
আপনার বিপরীতে ইলিয়াস কাঞ্চন থাকায়, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে এবার কতটা চাপ অনুভব করছেন?
আমার কোনো ধরনের চাপ নেই। নির্বাচনকে ঘিরে আমার সহশিল্পীদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, আড্ডা দিচ্ছি। ভোটের কথা বলছি যারা আমাকে পছন্দ করেন ভোট দেবেন। দীর্ঘদিন ধরে শিল্পী সমিতির নির্বচনের মাঠে আছি। ১৭ বছর ধরে শিল্পীদের জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করছি। তারা যদি আমাকে নির্বাচিত করে ভালো, না হলে কাঞ্চন ভাই নির্বাচিত হলে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসব। এটা নিয়ে চাপের কিছু নেই।
এফডিসিতে গত কয়েক বছর ধরে শুধু শিল্পী সমিতিই চর্চা হচ্ছে। সেভাবে সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে না। তাহলে শিল্পী সমিতি নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় কেন?
শিল্পী সমিতির কাজ কিন্তু সিনেমা নির্মাণ করা নয়। শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষা করাই হলো শিল্পী সমিতির কাজ। সিনেমা নির্মাণ করবে প্রযোজক, পরিচালকরা। আমরা শিল্পীরা অভিনয় করব। আর এটা তো লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয়। এই কারণে আমরা খুবই দুঃখিত। আমাদের চেহারা দেখলেই দুঃখের বিষয়টা বোঝা যায়।
শিল্পী সমিতি লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয় বলছেন। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণা কি সেটা বলছে?
আসলেই শিল্পী সমিতি কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয়। কোনো রাজনৈতিক ব্যাপার নেই এখানে। শিল্পীদের সেবা করার জন্যই এই সংগঠন। এছাড়া আর কিছুই দেখছি না এখানে। একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন যে আমি শিল্পী সমিতির পরিচয় কোথাও ব্যবহার করে লাভবান হতে চাইনি। আমি প্রথমেই অভিনেতা। এটা আপনারা দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছেন। প্রথমে আমি শিল্পী, তারপর অন্যকিছু। আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
শিল্পী সমিতির গত নির্বাচনে যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছিলেন, তার কতটা করতে পেরেছেন?
আমরা একশ'র মধ্যে নব্বই ভাগ করতে পেরেছি। আমরা করোনার ২ বছরে ১৮ বার শিল্পীদের বাসায় উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছি। শিল্পী সমিতির ফান্ডে ১২ লাখ টাকা জমা আছে। শিল্পী সমিতির জন্য এটা একটা ইতিহাস মনে করি। আমাদের কমিটি বিভিন্ন শিল্পীর মৃত্যুতে করোনা উপেক্ষা করে ছুটে গেছি। শিল্পীদের জন্য শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আমাদের সময়ে হয়েছে।
আমরা শুধু শিল্পীদের জন্য ভূমির ব্যবস্থা করতে পারেনি। এবার এটা মূল ফোকাস হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন দয়ালু অবশ্যই তিনি শিল্পীদের এই বিষয়টা দেখবেন। ১৮৪ জন শিল্পী নানা কারণে বাদ পড়েছেন। এর মধ্যে যোগ্যদের সদস্য পদ নিয়ে কী করা যায় দেখব।
এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে?
টাকার ছড়াছড়ির বিষয়ে কিছুই জানা নেই। আমার এত টাকা নেই, এটা সবাই জানে। হয়তো কোনো শিল্পী দূর থেকে এসেছে, কেউ হয়তো তার কনভেন্স দিয়েছে। কিছু খাওয়া-দাওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু হয়নি। আমার টাকা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এছাড়া কাঞ্চন ভাই একজন হাজি মানুষ। তিনিও এটা করবেন না জানি। কোথাও টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে না।
Comments