৫৫ সদস্যের ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’তে যারা আছেন

জাতীয় নাগরিক কমিটি
সালমান মুক্তাদির, তাজনূভা জাবীন, তাসনীম জারা, মানজুর-আল- মতিন, সারোয়ার তুষার, সাবহানাজ রশীদ দিয়া, সানজিদা ইসলাম তুলি ও প্রীতম দাশ। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে ৫৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে এ কমিটির আত্মপ্রকাশ করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও এবি পার্টির সাবেক গবেষণা ও তথ্য বিষয়ক সহকারী সম্পাদক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে ঢাবি আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও ডাকসুর সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক আখতার হোসেনকে।

অপরদিকে ঢাবি চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রচিন্তার সাবেক সদস্য সামান্তা শারমীনকে কমিটির মুখপাত্র করা হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক কমিটি তে যারা আছেন
নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সামান্তা শারমীন ও আখতার হোসেন। ছবি: স্টার

কমিটির অপর ৫২ সদস্যদের মধ্যে আছেন-মায়ের ডাকের সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি, চিকিৎসক তাসনীম জারা, চিকিৎসক ও অ্যাকটিভিস্ট তাজনূভা জাবীন, বাংলাদেশে মেটার পাবলিক পলিসি প্রধান সাবহানাজ রশীদ দিয়া, গবেষক ও লেখক সারোয়ার তুষার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর সালমান মুক্তাদির, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাবেক সদস্য প্রীতম দাশ, আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন।

অন্যান্যদের মধ্যে আছেন—আরিফুল ইসলাম আদীব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার চৌধুরি, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদি, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রাসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, প্রাঞ্জল কস্তা, মঈনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুযাইফা ইবনে ওমর, শ্রবণা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা, আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক মৃ, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, মো. আজহার উদ্দিন অনিক, মো. মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস. এম. শাহরিয়ার, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক উস সালেহীন, তাহসীন রিয়াজ, হাসান আলী খান, মো. আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান, আতিক মুজাহিদ, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল, মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, তানজিল মাহমুদ, এস.এম. সুজা, মো. আরিফুর রাহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, আকরাম হুসেইন।

কমিটির প্রাথমিক কাজ হবে—

১। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা।

২। ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা।

৩। রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা ও জবাবদিহিতার পরিসর তৈরি করা।

৪। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সাথে আলোচনা, মত বিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা।

৫। দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত করে রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা।

৬। জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেনি-পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা।

৭। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষপ গ্রহণ করা।

৮। গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করা।

Comments

The Daily Star  | English
yunus calls on youth to join politics

Yunus urges young people to engage more in politics

Yunus made the call when a group of young political activists from different political parties of Norway called on him at the state guest house Jamuna today

1h ago