আমার প্রথম ভালোবাসা নাচ: নাদিয়া

নাদিয়া আহমেদ। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/স্টার

নাদিয়া আহমেদ একাধারে অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী ও মডেল। বছরজুড়ে টিভি নাটকে সরব থাকেন তিনি। সর্বশেষ বকুলপুর নাটকে যাত্রার প্রিন্সেসের চরিত্রটি আলোচনায় নিয়ে এসেছে তাকে। চলতি সময়ে ৩টি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন।

সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারকে একটি সাক্ষাৎকারে নাদিয়া জানিয়েছেন অভিনয়ের পাশাপাশি নাচের প্রতি তার ভালোবাসার কথা।

গত কয়েক বছর ধরে গ্রামীণ গল্পের নাটকে বেশি দেখা যাচ্ছে আপনাকে। কারণটা কী?

এ কথা সত্যি গ্রামীণ গল্পের নাটকই বেশি করছি। টানা কয়েকবছর ধরে অনেক ধারাবাহিক করেছি। এখনও তিনটি ধারাবাহিক করছি গ্রামীণ গল্পের। এত বেশি গ্রামীণ নাটক করার জন্য কেউ কেউ মনে করে আমি বুঝি গ্রামে বড় হয়েছি। বিষয়টি কিন্তু তা নয়।

অনেক অভিনেত্রী গ্রামীণ নাটক করতে চান না। ওই সময় আমার ওপর চাপ বেশি পড়ে। এজন্য সংখ্যাটা বেশি হয়ে যায়। আবার এ কথাও সত্যি গ্রামীণ গল্পের নাটকের দর্শক আছে। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি গ্রামীণ গল্প নির্ভর নাটকের দর্শক বেশি।

কোনো একটি গ্রামীণ গল্পের নাটকের নাম বলুন, যা দুই বছরের মধ্যে দর্শকপ্রিয় হয়েছে?

বকুলপুর ধারাবাহিক নাটকটির কথা বলতে পারি। দীপ্ত টেলিভিশনে প্রচার হওয়া নাটকটি কায়সার আহমেদ পরিচালনা করেছিলেন। বকুলপুর নাটকে যাত্রার প্রিন্সেসের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। অনেক সাড়া পেয়েছিল নাটকটি। যেখানেই যেতাম বকুলপুর নাটকটির কথা বলা হতো। যাত্রার প্রিন্সেসের কথাও বলা হতো।

কিন্তু, লকডাউন ও কোভিডের জন্য নাটকটির শুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আবার নাটকটির শুটিং শুরু হবে। নতুন করে প্রচার হবে শুধু জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য।

নাদিয়া আহমেদ। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/স্টার

২০ বছর ধরে শোবিজে আছেন। অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন। কোন ধরণের কাজ এখনো করা হয়নি?

সাহিত্য নির্ভর নাটক কম করেছি। অনেক পছন্দের গল্প ও উপন্যাস আছে যেগুলো অবলম্বনে নাটক করার স্বপ্ন দেখি। বেশিরভাগ নাটকে স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করতে হয়, তা চাই না। নেগেটিভ চরিত্রে কখনও অভিনয় করা হয়নি। নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। শহরের গল্প নিয়ে নাটক এখন কম হয়। শহরে গল্পের নাটকে অভিনয় করতে চাই।

অভিনয়ে বেশি সরব থাকলেও, ছোটবেলা থেকে আপনি নাচের সঙ্গে জড়িত। শোবিজে এসে অনেকেই নাচ ছেড়ে দেন। আপনি ধরে রেখেছেন কীভাবে?

নাচ ধরে রাখার মূল কারণ নাচ আমার প্রথম ভালোবাসা। অনেক বছর ধরে দর্শকদের কাছ থেকে নৃত্যশিল্পী হিসেবে প্রচুর সাপোর্ট পেয়ে আসছি। দর্শকরা এখনও আমার নাচের প্রশংসা করেন। নৃত্যশিল্পী হিসেবে গর্ববোধ করি। দেশে বিদেশে অনেক শো করেছি নাচের। বিটিভিতে একটা সময়ে আমার ও লিখনের জুটি হয়ে নাচের অনুষ্ঠান করার কথা দর্শকরা আজও বলেন।

দীর্ঘদিন নাচের সঙ্গে থাকতে থাকতে ভালোবাসা জন্মে গেছে। এজন্য নাচের অনুষ্ঠান সহজে মিস করি না। শ্বশুরবাড়ির লোকজনও নাচের ব্যাপারে আগ্রহী।

আপনাকে কখনো বড় পর্দায় দেখা যায়নি কেন?

২০০০ সাল থেকেই সিনেমায় কাজ করার অফার পাচ্ছি। প্রচুর কমার্শিয়াল সিনেমার অফারও পেয়েছি। কিন্তু, পরিবারের ইচ্ছে ছিল না। আমারও ছিল না। নাটকেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছি, পাশাপাশি নাচ ও মডেলিংয়ে।

তবে, এখন তো ভালো ভালো গল্পের সিনেমা হচ্ছে। টেলিভিশনের অনেক শিল্পীরা সে সব সিনেমায় কাজ করছেন। ওইরকম কাজ হলে করার ইচ্ছে আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Exports under strain as India slaps more restrictions

Industry insiders say the new restrictions could deepen Bangladesh's export woes at a time when global demand remains fragile and other sectors—from garments to processed foods—also face trade hurdles

52m ago