সোহেল রানার স্মৃতিতে কবরী

নায়ক হিসেবে সোহেলা রানার অভিষেক মাসুদ রানা সিনেমা দিয়ে। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত সিনেমাটির পরিচালকও ছিলেন তিনি। সিনেমাতে সোহেল রানার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন কবরী ও অলিভিয়া। গত বছরের ১৭ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন কবরী। কবরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন সোহেল রানা।
কবরীর সঙ্গে সোহেল রানা। ছবি: সংগৃহীত

নায়ক হিসেবে সোহেলা রানার অভিষেক মাসুদ রানা সিনেমা দিয়ে। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত সিনেমাটির পরিচালকও ছিলেন তিনি। সিনেমাতে সোহেল রানার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন কবরী ও অলিভিয়া। গত বছরের ১৭ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন কবরী। কবরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন সোহেল রানা।

সোহেল রানা বলেন, 'কবরী তখন সিনেমাপ্রেমীদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। অনেক নামডাক হয়ে গেছে। বিপরীতে আমি সিনেমায় নতুন। আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পারভেজ ফিল্মসের ব্যানারে প্রথমবার সিনেমা পরিচালনা করব। নায়ক হিসেবেও আমি থাকব এবং গল্পও চূড়ান্ত।

'সেই সিনেমার নাম মাসুদ রানা। নাম ভূমিকায় আমি অভিনয় করি। মাসুদ রানা পরে সুপারডুপার হিট হয়। নায়িকা খোঁজার জন্য কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু, আমাকে তারা সহযোগিতা করেননি। নায়ক হিসেবে আমি নতুন ছিলাম বলেই হয়তো এমন করেন,' বলেন সোহেল রানা।

তিনি আরও বলেন, 'সবশেষে আমি যোগাযোগ করি কবরীর সঙ্গে। প্রথম কথায় তিনি রাজি হয়ে যান। তিনি বলেছিলেন, পারভেজ সাহেব আমি আপনার সিনেমা করব। তারপর গল্প করতে করতে তিনি জেনে নেন আরেকজন নায়িকার নাম।  সব শুনে হাসতে হাসতে বলেন, পারভেজ সাহেব অন্য নায়িকার দিকে বেশি তাকাবেন না কিন্তু।'

'ওই কথাটি এখনো কানে বাজে। দু'জনেই খুব হেসেছিলাম। এরপর মাসুদ রানার শুটিং শুরু করি। তিনি অনেক সহযোগিতা করেন। সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন তুলনাহীন। কবরীর সেই দিনের আন্তরিকতা, সহযোগিতার কথা সারাজীবন মনে রেখেছি। কবরী সেদিন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। কবরী বড় মনের শিল্পী ছিলেন। বড় মন না হলে সেদিন নাও রাজি হতে পারতেন,' যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'অভিনেত্রী হিসেবে, নায়িকা হিসেবে কবরী ছিলেন অনেক বড় মাপের। এদেশে তার মতো দর্শকপ্রিয় নায়িকা কমই এসেছেন। আবার মানুষ হিসেবেও তিনি অসাধারণ ছিলেন। তার ব্যক্তিত্ব ছিল চোখে পড়ার মতো। সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে তার সঙ্গে অনেক স্মৃতি, অনেক ঘটনা। সত্যি কথা বলতে তার চলে যাওয়াতে খুব খারাপ লেগেছে। কষ্ট পেয়েছি। এরকম একজন মানুষ হঠাৎ করেই চলে গেলেন! দেখতে দেখতে তার চলে যাওয়ার এক বছর হয়ে গেল! সময় কত দ্রুত চলে যায়।'

সোহেল রানা বলেন, 'সত্যি কথা বলতে কবরী সব মানুষের কাছে আপনজন ছিলেন। তাই তিনি মিষ্টি মেয়ে নামে সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন। তাকে দেখলেই মনে হতো চিরচেনা বাঙালি মেয়ে। কবরী নেই, কিন্তু তার সিনেমা আছে। এদেশের সিনেমায় তার অবদানের কথা ভুলতে পারবে না। দূর থেকে তার জন্য প্রার্থনা করব।'

ছবি : সংগৃহীতৃ

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago