গ্র্যামিতে ইতিহাস, কে এই অলিভিয়া রদ্রিগো

অলিভিয়া রদ্রিগো। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন কণ্ঠশিল্পী-গীতিকার অলিভিয়া রদ্রিগো। তিনি এ বছর গ্র্যামিতে বেস্ট নিউ আর্টিস্ট, বেস্ট পপ সলো পারফরমেন্স (ড্রাইভার্স লাইসেন্সের জন্য) এবং বেস্ট পপ ভোকাল অ্যালবাম (তার প্রথম অ্যালবাম সোরের জন্য) বিভাগে তিনটি ট্রফি জিতে ইতিহাস গড়েছেন। অথচ ছোটবেলায় অলিম্পিক জিমন্যাস্ট হতে চেয়েছিলেন এই কিশোরী তারকা। ২০২১ সালে টাইম ম্যাগাজিনের 'এন্টারটেইনার অব দ্য ইয়ার' মনোনীত হওয়া ১৯ বছর বয়সী লস এঞ্জেলেসের মেয়েটি এখন সংগীতের মহাতারকায় পরিণত হয়েছেন।

অলিভিয়া রদ্রিগো। ছবি: সংগৃহীত

ডিজনি থেকে শীর্ষে

রদ্রিগো ডিজনি চ্যানেলের বিজারদাভারকে গিটারবাদকের চরিত্রে অভিনয় করেন এবং ২০১৯ সালে ডিজনি সিরিজ 'হাই স্কুল মিউজিকাল' এর জন্য তাকে কাস্ট করা হয়। সেখানে তিনি 'অল আই ওয়ান্ট' গানটি লেখেন। যা মার্কিন চার্টে ৯০ নম্বরে ছিল। তিনি ডেমি লোভাটো, মাইলি সাইরাস এবং সেলেনা গোমেজের মতো ডিজনি তারকাদের তুলনায় বেশি নজর কাড়েন।

অলিভিয়া রদ্রিগো। ছবি: সংগৃহীত

কিন্তু, এই কণ্ঠশিল্পী-গীতিকার খুব সচেতনভাবে ডিজনির ছায়া থেকে বেরিয়ে আসেন এবং নিজের আলাদা পরিচয় তৈরির চেষ্টা শুরু করেন। তিনি ইনস্টাগ্রামে তার কাজ পোস্ট করতেন এবং নিজের একটি আলাদা জগত সৃষ্টি করেন। ফলে, খুব দ্রুত তার ভক্ত বাড়তে শুরু করে। তিনি টেইলর সুইফটের গানের কাভার সংস্করণ গেয়েছিলেন। যার মধ্যে 'ক্রুয়াল সামার' গানটি সুইফট নিজেই শেয়ার করেন। এরপর রদ্রিগো লেখেন 'দেজা ভু' এবং এটি তখন ট্রেন্ড হয়ে ওঠে।

অলিভিয়া রদ্রিগো। ছবি: সংগৃহীত

২০২১ সালে প্রকাশিত হয় রদ্রিগোর একক 'ড্রাইভার্স লাইসেন্স'। এটি এই কিশোরী তারকার জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। যা তাকে বিশ্বব্যাপী তরুণ প্রজন্মের কাছে রাতারাতি তারকা খ্যাতি এনে দেয়। এটি স্পটিফাইয়ে রেকর্ড ভাঙে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে বিলবোর্ড হট হান্ড্রেডের এক নম্বর গান হয়ে ওঠে। পরে বিলবোর্ড এটিকে 'রানওয়ে হিট অব ২০২১' হিসেবে অভিহিত করে। এরপর বছরের মাঝামাঝি সময়ে রদ্রিগো তার প্রথম অ্যালবাম 'সোর' প্রকাশ করেন। যা বিলবোর্ড ২০০ চার্টের শীর্ষ স্থান দখল করে এবং টানা ৫ সপ্তাহ শীর্ষ স্থান ধরে রাখে।

আইকনের চেয়েও বেশি

২০২১ সালের জুলাইয়ে রদ্রিগো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে হোয়াইট হাউসে যান এবং অন্যান্য পপ আইকনদের আগে তিনি মার্কিন তরুণদের টিকা নিতে উত্সাহিত করেন। একজন পাবলিক সার্ভিস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে জেন্ডার বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিনা ডেভিস ইনস্টিটিউট অন জেন্ডার ইন মিডিয়ার স্পিকার এবং প্যানেলিস্ট হয়েছিলেন।

অলিভিয়া রদ্রিগো। ছবি: সংগৃহীত

রদ্রিগো ডিজনির ক্যান্ডিফ্লস ড্রিম ফ্যাক্টরি থেকে বেরিয়ে এলেও মার্কিন কিশোর-কিশোরীদের ক্ষোভ, দ্বন্দ্ব এবং সংগ্রাম নিয়ে কথা বলে প্রশংসিত হন। তার মধ্যে বহু-সংস্কৃতিবাদের উপস্থিতি আছে। কারণ তার বাবা একজন ফিলিপিনো-আমেরিকান এবং তার মায়ের পরিবারের পূর্বপুরুষরা জার্মান ও আইরিশ।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago