জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নেওয়ার সময় বাবা-বোন খুশিতে কেঁদে ফেলেছিলেন: কনা

গানের জগতে দিলশাদ নাহার কনার পথচলা অনেক দিনের। সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন আরও আগেই। এবার তার সাফল্যের ঝুলিতে যুক্ত হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। 'বিশ্বসুন্দরী' সিনেমার একটি গানের জন্য প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার জিতলেন তিনি।
দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ পুরস্কার জেতার অনুভূতি জানিয়েছেন কনা।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে কেমন লাগছে?
পুরস্কার ভালো কাজের স্বীকৃতি। সত্যি কথা বলতে, মা-বাবা চাইতেন এটা। পাওয়ার পর ভীষণ ভালো লাগা কাজ করেছে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করার সময় বাবা ও বোন খুশিতে কেঁদে ফেলেছিলেন। আমার শ্রোতা ও ভক্তরাও খুশি হয়েছেন।

পুরস্কার পাওয়ার পর শিল্পী হিসেবে দায়বদ্ধতা বেড়ে গেল কি?
ফিল্মের গানের বিষয়ে বলব, আমার ক্যারিয়ারে অনেক ভালো ভালো গান করার সুযোগ হয়েছে। আইটেম গান হলেও ভালো গানই এসেছে আমার কাছে। ফিল্মে বেছে বেছে গান করি। গান সিলেকশনটা করি ভালো করে। পুরস্কার পাওয়ার পর এই বিষয়টিতে আরও বেশি খেয়াল রাখব। যেন সবসময় ভালো গানের সঙ্গে থাকতে পারি। দায়বদ্ধতা সবসময়ই ছিল। আগামীতেও থাকবে।
স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ততা কেমন?
স্টেজে অনেক ব্যস্ত। প্রায় প্রতিদিন স্টেজ শো করছি। কখনো ঢাকা, কখনো গাজীপুর, কখনো সিরাজগঞ্জ, নানা জায়গায় স্টেজ শো করছি। কোভিডের সময় তো সবকিছু স্থবির ছিল, এখন তা নেই। এটা শিল্পী হিসেবে সুখের কথা। স্টেজে গান করে সরাসরি দর্শকদের রিঅ্যাকশন জানা যায়।

আপনার কাছে গান মানে কী?
গান আমার কাছে ভালোবাসা ও সাধনার বিষয়। জনপ্রিয়তা ও ব্যস্ততা উপভোগ করি। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। সুন্দর গানের সঙ্গে থাকতে চাই। সাধনা করতে চাই নিয়মিত। বাংলা গানের সঙ্গে চিরদিন থাকতে চাই।
Comments