যতবার তার কথা ভাবছি, চোখ ভিজে আসছে: অপু বিশ্বাস

দর্শকনন্দিত চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস অভিনীত 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২' সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত এই সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন বাপ্পী চৌধুরী।
সারাদেশের ২২টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। নতুন সিনেমার মুক্তিসহ চলমান শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।
অনেকদিন পর ভালোবাসা দিবসে নতুন সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। কেমন লাগছে?
নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পেলেই একটা উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। এবার ভালোবাসা দিবসে আমার অভিনীত সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। আরো ভালোবাসাময় হয়ে উঠবে এবারের ভালোবাসা দিবস। 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২' সিনেমাটি দর্শকদের মধ্যে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেবে। অনেকদিন পর বড়পর্দায় আমার উপস্থিতি অনেক আনন্দের।

দর্শক কেন এই সিনেমা দেখবে?
দেবাশীষ বিশ্বাস একজন ভালো পরিচালক। অনেক যত্ন করে কমেডি ও ভালোবাসার মিশ্রণে দুর্দান্ত একটা গল্প নিয়ে সিনেমাটা নির্মাণ করেছেন। বাপ্পীর সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রথম অভিনয় করেছি। এই কারণে দর্শকরা সিনেমাটা দেখবে বলে আমার বিশ্বাস।
নায়ক হিসেবে আপনার বিপরীতে বাপ্পীকে কেমন মনে হয়েছে?
ভালোই তো। অভিনয়, নাচে অনেক মনোযোগী একজন নায়ক। ওর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও দারুণ। সেটা দর্শক পর্দায় প্রমাণ পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

আপনার সঙ্গে বাপ্পীর প্রেমের কথা শোনা গিয়েছিল এই সিনেমার শুটিংয়ের সময়।
এটা আর নতুন কী? গুঞ্জন ছাড়া আর কিছু নয়। প্রেম থাকলে এখনো সেটা নিয়ে মানুষ কথা বলতো। বুঝতেই পারছেন বিষয়টা সত্য ছিল না।
এই সিনেমার শুটিংয়ে স্মরণীয় কোনো ঘটনা?
প্রয়াত সাদেক বাচ্চু আঙ্কেল অভিনীত শেষ সিনেমা 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২'। তাকে বাবার মতো দেখতাম। অনেক শ্রদ্ধা আর আদর মেশানো ছিলো সম্পর্কটা। বারবার তার কথা মনে হচ্ছে। শুটিংয়ের অবসরে অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলতাম তার সঙ্গে। যতবার তার কথা ভাবছি, চোখটা ভিজে আসছে।

রিয়াজ-শাবনূর জুটির 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ' সিনেমা অনেক আলোচিত হয়েছিল। 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২' কি সেই সিনেমাকে ছাড়িয়ে যাবে?
সেই সিনেমার জুটিকে ক্রস করার মতো সাহস আমাদের নেই। এটা কিন্তু ওই সিনেমার সিক্যুয়েল মোটেও না। এটা একেবারে নতুন একটা গল্পের সিনেমা। দর্শক দেখলেই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন বলে আশা করছি।
শিল্পী সমিতির চলমান ঘটনা নিয়ে আপনার অভিমত কী?
খুব বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে এইসব। শিল্পী সমিতির নির্বাচন বাদ দিয়ে কীভাবে বেশি সিনেমা নির্মাণ করা যায়, সেদিকে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। সিনেমার মানুষদের হাস্যকর বানানোর কোনো অধিকার কারো নেই। শিল্পী সমিতিতে কী আছে বুঝি না। সিনেমা নির্মাণের দিকে বেশি ফোকাস করা প্রয়োজন আমাদের।
Comments