লতার বিদায়ে শোকাতুর বিশ্ব

উপমহাদেশের সংগীতভক্তদের ৭ দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের মায়াজালে বেঁধে রেখে মাটির পৃথিবী ছেড়ে গেলেন লতা মঙ্গেশকর। এই 'সুরসম্রাজ্ঞীর' প্রয়াণে শোকের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে।
চল্লিশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভারতীয় চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শুরু করা লতা অল্প সময়েই হয়ে উঠেছিলেন ইন্ডাস্ট্রির অপরিহার্য একটি নাম। গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার যেমন বলেছিলেন, ভারতীয় সিনেমার গান মানেই লতা মঙ্গেশকর।
ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষার পাশাপাশি বিদেশি ভাষাতেও তিনি গান করেছেন। বাংলাদেশের একাধিক প্রজন্মের কাছেও লতার কণ্ঠ স্বপ্নের মতো। বাংলা সিনেমাতেও প্রায় ২০০ গান রয়েছে লতার।
আজ রোববার অনন্য প্রতিভাময়ী ও সর্বজনশ্রদ্ধেয় লতার মৃত্যুর পর তাকে স্মরণ করেছে বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো।
বিবিসির করা শিরোনামে বলা হয়েছে, 'লতা মঙ্গেশকর: ৯২ বছর বয়সে ভারতের কালজয়ী গায়িকার জীবনাবসান।'
লতার প্রয়াণে সিএনএন শিরোনাম করেছে, '৯২ বছর বয়সে গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোক করছে ভারত'। সিএনএন লতা মঙ্গেশকরকে অভিহিত করে 'ভারতের নাইটিংগেল' হিসেবে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, তার কোমল কণ্ঠকে তিনি খুব সহজেই তারা সপ্তকে নিয়ে যেতে পারতেন। তার কণ্ঠ ভারতের প্রায় প্রতিটি পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) শিরোনাম, 'কালজয়ী গায়িকা লতা মঙ্গেশকর ৯২ বছর বয়সে মারা গেছেন'।
এপির প্রতিবেদনের বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার কোটি মানুষ তার কণ্ঠ নিমিষেই চিনতে পারতেন।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বেশ কয়েক প্রজন্মের কাছে সংগীত ও সুর মানেই লতা মঙ্গেশকর। প্রতিবেদনে তাকে অভিহিত করা হয় ভারতের দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী গায়িকা হিসেবে।
একইভাবে নিউইয়র্ক টাইমস তাদের শিরোনামে লতাকে 'বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় কণ্ঠের অধিকারী' বলে উল্লেখ করে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে লতাকে বলা হয় হিন্দি গানের 'আইকন'।
ভ্যারাইটি ডটকম লতাকে অভিহিত করেছে 'সুরের রানী' হিসেবে। এই অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, লতা ভারতের গায়ক-গায়িকাদের গানের জন্য এককালীন অর্থের পরিবর্তে রয়্যালিটি পাওয়ার কৃতিত্বের দাবিদার। গত শতকের ষাটের দশক থেকে তিনি এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
Comments