আগামী এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর
বেশ কিছুদিন ঝুলিয়ে রাখার পর আগামী এপ্রিলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়া দিল্লি সফরে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সফরের বিভিন্ন বিষয় চূড়ান্ত করতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শংকর ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসবেন। দুই পক্ষ সুবিধাজনক সময়ের ব্যাপারে একমত হতে না পারার কারণে গত কয়েক মাসের মধ্যে হাসিনার সফর দুই বার পেছানো হয়েছে।
ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জয়শংকর। দিল্লিতে দুই ডজনেরও বেশি বিষয়ে চুক্তির বিভিন্ন দিক চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব। এর মধ্যে মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ভারতকে ব্যবহার করতে দেওয়া সংক্রান্ত চুক্তিও রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে আটকে থাকা তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে এবারও বড় ধরনের কোন অগ্রগতির সম্ভাবনা নেই। এর চেয়ে বরং আলোচ্য সূচিতে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বেশি গুরুত্ব পাবে।
কূটনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শেখ হাসিনার নয়া দিল্লি সফর ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টায় রয়েছে।
বিশেষ করে গত বছর ১৪-১৫ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফর দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করে। সে সময় বেইজিংয়ের সঙ্গে ২৫ বিলিয়ন ডলারের ২৭টি চুক্তি ভারতকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলে।
চীনের কাছ থেকে দুটি ডুবোজাহাজ কেনার বিষয়টিও ভারতের জন্য সুখকর ছিলো না বলে মনে করা হয়। কূটনৈতিক সূত্রগুলো মনে করছে, হাসিনার সফরে নতুন একটি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ গলাতে সহায়তা করবে।
Comments