আনন্দ পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান
দ্বিতীয় বারের মতো আনন্দ পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলাদেশের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। প্রথম আলো পত্রিকা গোষ্ঠীর প্রকাশনী সংস্থা প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত লেখকের আত্মস্মৃতি নির্ভর “বিপুলা পৃথিবী” বইটির জন্যে এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।
আনন্দ বাজার পত্রিকা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কারের বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
১৯৯৪ সালে ঐতিহ্যের অঙ্গীকার নামের হাজার বছরের বাংলা কবিতা, গান ও নাটক নিয়ে লেখা ১৪টি ক্যাসেটের সংকলনের জন্য আনন্দ পুরস্কার পেয়েছিলেন আনিসুজ্জামান।
ভারতের বাংলা ভাষার অন্যতম প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা আনন্দ বাজার গোষ্ঠীর প্রকাশনা সংস্থা “আনন্দ পাবলিশার্স”-এর পক্ষ থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ১৯৫৮ সাল থেকে। বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ও সমরেশ বসুর মতো লেখককে প্রথম বছর আনন্দ পুরস্কার দেওয়া হয়।
ছয় দশক ধরে এই পুরস্কার দেশ-বিদেশের বহু খ্যাতনামা লেখককে দেওয়ার মধ্য দিয়ে আনন্দ পুরস্কার আন্তর্জাতিক পুরস্কার হিসাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই আনন্দ পুরস্কারের এ বছর হীরকজয়ন্তী বছরও।
শনিবার কলকাতার সাড়ম্বর আয়োজনের মধ্যদিয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেবেন আনন্দ বাজার গোষ্ঠীর কর্ণধার অভিক সরকার।
“বিপুলা পৃথিবী” আনিসুজ্জামানের আত্মস্মৃতি। তাঁর জীবনের অনুষঙ্গে এতে ধরা পড়েছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতির নানা ঘটনা এবং এর ঘাত-প্রতিঘাত।
আনিসুজ্জামানের “বিপুলা পৃথিবী” ছাড়াও এই বছর আনন্দ পুরস্কারের জন্য স্মার্ট লিস্টে জায়গা পেয়েছিলো পথিক গুহের “ঈশ্বরকণা মানুষ ইত্যাদি” এবং অনিতা অগ্নিহোত্রীর “মহানদী”।
এক প্রতিবেদনে আনন্দ বাজার পত্রিকায় আজ জানানো হয়েছে, “এ বারের আনন্দ পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন কৃষ্ণা বসু, রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, সেলিনা হোসেন ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।”
Comments