এবার ব্র্যাকের ৬ ছাত্র বানালো ‘মঙ্গল তরী’
দেশের প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট ‘অন্বেষা’ ও চাঁদের পৃষ্ঠে খনন যন্ত্র ‘চন্দ্রবট’ তৈরির পর পৃথিবীর কক্ষ ছাড়িয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এবার তারা হাজির হয়েছেন মঙ্গল পৃষ্ঠে চলার উপযোগী যান ‘মঙ্গল তরী’ নিয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয় ছাত্রের একটি দল মঙ্গল তরীর নকশা ও তৈরির কাজ করেছেন। আগামী জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ইউতাহে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের রোভার প্রতিযোগিতা ‘ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জে’ প্রদর্শন করা হবে এটি।
সাতটি দেশের ৩৬টি দল রোভার প্রতিযোগিতায় নিজেদের যান প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছে। পর্যালোচনা ও বাছাই শেষে গত ২১ মার্চ প্রদর্শনীতে যোগ দেওয়ার জন্য দলগুলোকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল এবারের প্রতিযোগিতায় তাদের প্রকল্প উপস্থাপনের সুযোগ পাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
ব্র্যাকের ছয় সদস্যের দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিয়াজ শরীফ। তাদের ডিজাইন প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হওয়ায় আজ সকালে দ্য ডেইলি স্টারের কাছে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আশা করছি, দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারবো আমরা।”
প্রকল্পের উপদেষ্টা ড খলিলুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমাদের ছাত্ররা যা করেছে সেটা অনেক বড় অর্জন।” ‘অন্বেষা’ ও ‘চন্দ্রবট’ তৈরিতে নেপথ্যে থেকেও কাজ করেছেন তিনি।
ড খলিল বলেন, “বাংলাদেশের ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে। এটা বাংলাদেশের একটি নতুন অর্জন। আমার বিশ্বাস এটা দেশের ভেতরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।” এ ধরনের উদ্যোগে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
আগামী মে মাসের মধ্যে দেশের প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট অন্বেষাকে মহাশূন্যে পাঠানোর আশা করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। ১০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের এই স্যাটেলাইটটি দিয়ে মূলত গবেষণার কাজ করা হবে।
২০১১ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা চন্দ্র পৃষ্ঠের খনন যন্ত্র ‘চন্দ্রবট’ তৈরি করেন। নাসার চন্দ্র যান প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তারা তখন আন্তর্জাতিকভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।
Comments