কলকাতায় বাংলাদেশের আয়োজনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’

আত্মপ্রকাশ করল ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র প্রথমত রেপ্লিকা। সেটিও আবার রবীন্দ্রনাথ-বঙ্কিমের শহর কলকাতায়।
Kolkata Shohajatra
কলকাতায় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ করল বাংলাদেশ উপদূতাবাস। আজ বিকাল সাড়ে চারটায় পার্কসার্কাস সাত রাস্তার মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু সরণি বাংলাদেশ উপদূতাবাস কার্যালয় পর্যন্ত যায় এই ‘শোভা যাত্রা’। ছবি: স্টার

আত্মপ্রকাশ করল ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র প্রথমত রেপ্লিকা। সেটিও আবার রবীন্দ্রনাথ-বঙ্কিমের শহর কলকাতায়।

এই শহরের বুকেই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উড়েছিল পত্পত্ করে!

আজ স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় মধ্যকলকাতার পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্টের বাংলাদেশ তথ্যকেন্দ্র তথা লাইব্রেরি ভবন থেকে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বেগবাগানে বঙ্গবন্ধু সরণির কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস ভবনের দিকে এগুতে শুরু করে।

উপদূতাবাসের উপ-হাইকমিশনার জকি আহাদ, মিয়া মহম্মদ মাইনুল কবীর, এবিএম জামাল হোসেন, মোফাকখারুল ইকবাল, ওমর ফারুখ খান, মনসুর আহমেদ বিপ্লব, সাইফুল ইসলাম, সাহনাজ আক্তার, মৌসুমী ওয়াইস এবং শেখ সাফিনুল হক ছাড়াও উপদূতাবাসের র্শীষস্থানীয় কর্মকর্তা ও কর্মীরাও ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য় অংশ নিয়েছিলেন।

সন্ধ্যার আগেই শোভাযাত্রা গিয়ে শেষ হয় বঙ্গবন্ধু সরণির উপদূতাবাস প্রাঙ্গণে। এরপর, সেখানে বর্ষবরণের সঙ্গীত, নৃত্য-পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। পাশাপাশি শুরু হয় ভোজনরসিক বাঙালির চিরাচরিত হরেক রকম পিঠা-পায়েসের উৎসব। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ, বর্ষীয়ান সাংবাদিক-লেখক উর্মি রহমান প্রমুখ।

তবে এদিন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য় সামিল হতে না পেরে স্থানীয়দের অনেকেই আক্ষেপ করেছেন।

আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গে চৈত্র সংক্রান্ত। চড়কপুজো ছাড়াও নানা আয়োজনে বাংলা নতুন বছরকে বিদায় দেওয়ার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় এপার বাংলার বাঙালিরা।

শেষ মুহূর্তে দোকান-বাড়ি ধোয়া-মোছার কাজেও লেগে পড়েছেন গৃহকর্ত্রী থেকে গৃহস্বামী।

পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ দেখে অনেকেই হাত কামড়েছেন অংশ নিতে না পেরে।

দ্য ডেইলি স্টারকে যেমনটি বলছিলেন পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা আব্দুল কাদের। তাঁর ভাষায়, একই দিনে যদি বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করা যেতো তবে এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য় আমরাও পা মেলাতে পারতাম।

যদিও এই বিষয়ে তেমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব নয় বলেই পরিষ্কার জানিয়েছেন কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার জকি আহাদ। তিনি বললেন, দেখুন এটা তো ক্যালেন্ডার হিসাবে হয়। বহু বছর ধরেই এই রীতি চলে আসছে। পঞ্জিকার হিসাব তো আর পাল্টানো যাবে না।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago