কলকাতা পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা

কলকাতা পুলিশ। ছবি: এএফপি

কলকাতার পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন একজন আইনজীবী। দক্ষিণ কলকাতার বেহালার বাসিন্দা কমল দে নামের ওই আইনজীবী সরাসরি আদালতের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, “একজন পুলিশ যদি শারীরিকভাবে অনুপযুক্ত থাকেন তবে ওই পুলিশের পক্ষে কোনও অপরাধী ধরা সম্ভব নয়।”

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিশিতা মিত্র এবং বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওই আইনজীবী সুনির্দিষ্ট করে লিখিত আবেদনে আরও বলেন, “১৯৬১ সালের পুলিশ আইন মতে ফিট না হলে প্রথমে সাসপেন্ড এবং পরে বরখাস্ত করার বিধান থাকার পরও কোথাও কোনও সাসপেনশন কিংবা বরখাস্তের নজির নেই। অর্থাৎ পুলিশের এই আইনটিই মানা হচ্ছে না রাজ্যে।”

শুক্রবার আদালতের দ্বিতীয় অধিবেশনে এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের ওই ডিভিশন বেঞ্চ আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেন। বিচারকরা হলফনামায় রাজ্য সরকারের পুলিশের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কি ভাবছে সে ব্যাপারে ব্যাখ্যার নির্দেশ দিয়েছেন।

জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী কমল দে পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, শারীরিকভাবে অনুপযুক্ত পুলিশ রাস্তায় বসেই ঘুমাচ্ছেন, খৈনী (নেশাজাতীয় দ্রব্য) খাচ্ছেন এবং প্রকাশ্যে ধূমপানও করছেন। এইসব পুলিশ কি করে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন- এটাই আদালতের সামনে তুলে ধরেছি। তিনি জানান, আমার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য আমি আবেদনের সঙ্গে বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও ক্লিপও পেশ করেছিলাম।

এই মুহূর্তে কলকাতা পুলিশের প্রায় ত্রিশ হাজার সদস্য রয়েছেন। ৮টি ডিভিশনে অন্তর্গত কলকাতার মোট থানার সংখ্যা ৭৭। প্রসঙ্গত কলকাতার পুলিশ কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন রাজীব কুমার। বর্তমান তৃণমূল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহভাজন বলে পরিচিত তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Beyond development paradox & unnayan without democracy

As Bangladesh seeks to recalibrate its path in the aftermath of recent upheavals, the time is ripe to revisit an oft-invoked but under-examined agenda: institutional reform. Institutions are crucial to understand, as they are foundational for governance, transformation, and economic development.

16h ago