কোহলি আমার চেয়ে ভালো করবে: ধোনি

অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার দুই সপ্তাহ পর গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন ধোনি। ছবি: এএফপি

ভারতের উইকেটরক্ষক-অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সীমিত ওভার ও টেস্টের জন্য আলাদা অধিনায়ক লাগবে এ ব্যাপারে একমত হতে না পারার কারণেই কোহলিকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

আর একদিন বাদেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক দিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে ভারত। এমন সময় “দ্বৈত অধিনায়কত্বে আস্থা নেই আমার” বলেই সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

“মাত্র একজনই দলকে নেতৃত্ব দিতে পারে। দ্বৈত অধিনায়কত্ব ভারতে কাজ করে না। সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম আমি। চেয়েছি কোহলি যেন খুব সহজভাবে দায়িত্বটা গ্রহণ করতে পারে। এটা কোন ভুল সিদ্ধান্ত নয়। সব ফরম্যাটেই ভালো করার ক্ষমতা রাখে এই দলটা। সরে যাওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো সময় বলে মনে করি আমি।” অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার দুই সপ্তাহ পর প্রথমবারের মত গণমাধ্যমের সামনে এসে কথাগুলো বলেন ধোনি।

যেসব ঘটনার প্রেক্ষিতে অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেগুলো নিয়েও সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন ধোনি। তিনি জানান, এটা হঠাৎ সিদ্ধান্ত ছিলো না। বরং বেশ কিছুদিন আগেই দায়িত্ব থেকে সরে যাবার কথা বিসিসিআইকে জানিয়েছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় সফর চলাকালে টেস্ট দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকে বিষটি তাকে ভাবাচ্ছিলো।

তিনি বলেন, “দলে একক নেতৃত্বকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করি আমি। কোহলি টেস্ট দলের নেতৃত্ব নেওয়ার সময়ও এই বিষয়টা আমার মাথায় ছিলো। আমি চেয়েছিলাম সে নির্ঝঞ্ঝাট দায়িত্ব পালন করুক। সীমিত ওভারের ফরম্যাটেও তার দায়িত্ব নেওয়ার এটাই সঠিক সময়।”

তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোয় কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোহলিকে বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ ও মতামত দেওয়া অব্যাহত রাখবেন তিনি।

“উইকেটরক্ষক সবসময়ই দলের ভাইস ক্যাপ্টেন। অধিনায়ক কী চাইছেন সবসময় তার ওপর দৃষ্টি থাকবে আমার। ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে এরই মধ্যে কোহলির সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। সবকিছু নিয়েই সচেতন থাকতে হবে আমাকে।” যোগ করেন ধোনি।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English
government bank borrowing target

Govt to give special benefits to employees, pensioners from July 1

For self-governing and state-owned institutions, the benefit must be funded from their budgets

44m ago