বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ ২০১৭

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ খুবই বিপদজনক: স্টিভেন স্মিথ

Steven Smith
অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ছবি: এএফপি

সিরিজ শুরুর আগে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, বাংলাদেশ ঘরের মাঠে অপরাজেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টাইগাররাই ২-০ তে সিরিজ জিতবে। তা শুনে চোখ বড় বড় করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। সাকিবের এসব কথাকে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের তকমা দিয়েছিলেন। বুধবার প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের কাছে ২০ রানে হেরে যাওয়ার পর আবার তা মনে করিয়ে দিতে সেই স্মিথই চুপসে গেলেন খানিকটা। বললেন, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আসলেই বিপদজনক দল।

ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে স্মিথের দিকে একের পর এক প্রশ্নের বান অবশ্য তার স্বদেশী সাংবাদিকদেরই। শ্রীলঙ্কায় হার, ভারতে হার। এবার বাংলাদেশেও ধরাশায়ী। উপমহাদেশে কেন পারছে না অস্ট্রেলিয়া এর জবাব পরিষ্কার করে দেননি স্মিথ। দাঁড় করাননি অজুহাত। জেতার কৃতিত্ব পুরোটাই দিলেন বাংলাদেশকে, “আসলে বাংলাদেশ খুব বিপদজনক দল বিশেষ করে ঘরের মাঠে, তাদের সাকিব-তামিমের মতো দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড় আছে।”

বাংলাদেশের ২৬০ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ২১৭ রান করতে পেরেছিলো অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসের রান না পাওয়ার হতাশা স্মিথের কণ্ঠে, “আসলে আমাদের আরও বড় সংগ্রহ করা উচিত ছিলো, ওদেরকেও যদি আরও কম রানে বেঁধে ফেলা যেত তবে ম্যাচে থাকতাম। কোনটিই হয়নি। টার্নিং পিচে ছোট টার্গেট পার হওয়াও অনেক কঠিন।”

স্মিথের মতে, বাংলাদেশের দুই সেরা তারকাই আসলে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন, “সাকিব খুব আগ্রাসী ছিলো প্রথম ইনিংসে। তামিম আর ও মিলে দেড়শ (১৫৫) রানের জুটি করে ফেলল। ওখানে আমরা ব্যাকফুটে চলে যাই। তারপর বল হাতে এই ধরনের পিচে সাকিব খুব বিপদজনক আমরা জানতাম। সে তার সেরা ছন্দে ছিলো। এই দুজনেই ব্যবধান করে দিয়েছে।”

এই সিরিজ হারলে টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে ধস নামবে অস্ট্রেলিয়ার। স্মিথ র‍্যাঙ্কিং নিয়ে ভাবছেন না। তাঁর নজর চট্টগ্রাম টেস্টের দিকে, “আমরা অবশ্য চাপে আছি। ২ ম্যাচের সিরিজ ১-০ তে পিছিয়ে গেলে তো খুবই চাপের ব্যাপার। এখান থেকে সিরিজ জেতার সুযোগ নেই। এখন কেবল সিরিজটা ড্র করতে পারি। আমাদের সব মনোযোগ থাকবে সেদিকে।”

৪ সেপ্টেম্বর সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে চট্টগ্রামে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangabandhu Railway Bridge

Bridge this year, full benefits not before 2030

The Bangabandhu Railway Bridge over the Jamuna is set to be inaugurated next month, but people will not get the full benefit of it until at least 2030.

8h ago