টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফির জায়গায় সাকিবকে নিয়ে ভাবছে বিসিবি

Shakib-Al-Hasan
সাকিব আল হাসান। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান বলেন, টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির জায়গায় সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ভাবছে বোর্ড।

তিনি আরও বলেন, তারা জানতেন যে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে মাশরাফি বিন মুর্তজা সরে দাঁড়াচ্ছেন, তবে তিনি এই ফরম্যাটের খেলা থেকে অবসরে যাচ্ছেন না।

মাশরাফি গতকাল কলম্বোর প্রেমাদাসা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরুর আগে ঘোষণা দেন যে তিনি এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিচ্ছেন।

আজ সকালে কলম্বোর তাজ সমুদ্র হোটেলে নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “মাশরাফি, তামিম, মুশফিক এবং সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি তাঁদেরকে বলেছি দেশের ক্রিকেটে তাঁদের অবদান অনেক। অবসর নেওয়ার ব্যাপারে তাঁরা প্রত্যেকেরই নিজ নিজ সিদ্ধান্ত নিবেন।”

“মাশরাফি আমাদের বলেছিলেন যে অধিনায়ক হিসেবে এটাই তাঁর শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। কিন্তু আমরা জানতাম না যে তিনি এই ফরম্যাট থেকেই অবসর নিবেন। আমরা ভেবেছিলাম, দ্বিতীয় ম্যাচের আগে তিনি এমনটি করবেন না। আমি জানি না তিনি কেন অবসর নিলেন। আমাদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল তার ভিত্তিতে বলা যায় যে তিনি দলে থাকবেন।”

“তিনি গতকালও অসাধারণ বোলিং করেন। তিনি যদি খেলায় ফিট থাকেন তাহলে তাঁকে কেউ দল থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন না। তবে তিনি যদি খেলতে না চান সেটা ভিন্ন ব্যাপার।”

তবে ম্যাচের শেষে মাশরাফি জানান, তাঁর সিদ্ধান্তটি আগেই তিনি বোর্ড সভাপতিকে জানিয়েছিলেন। কেননা, বোর্ড সভাপতি তাঁকে অধিনায়কের সম্মান দিয়েছিলেন।

এদিকে, নাজমুল হাসান বলেন, “আমরা ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। ততদিন মাশরাফির ফিট থাকার সম্ভাবনা কম। তাই আমাদের নতুন অধিনায়ক নিয়ে ভাবার প্রয়োজন ছিল।”

“যাহোক, পরবর্তী অধিনায়ক নিয়ে ভাবতে গেলে বলা যাবে যে আমাদের হাতে চারজন প্রার্থী রয়েছেন – তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ এবং সাকিব আল হাসান। এঁদের মধ্যে সাকিব সবচেয়ে ভালো করছেন। দিনে দিনে তিনি আরও বেশি অভিজ্ঞ হয়ে উঠছেন। তাই বলা যায় যে, টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফির জায়গায় সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্ব নিয়ে ভাবছে বোর্ড।”

Comments

The Daily Star  | English

July 5, 2024: Nationwide protests persist despite holiday

Even on a holiday, the quota reform protests show no sign of slowing. Students across Bangladesh take to the streets, block roads, form human chains, and voice their rejection of the reinstated quota system in government jobs.

6h ago