ট্রাম্পের হ্যাট বাংলাদেশে তৈরি

'মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' লেখা এই হ্যাটগুলোর বেশিরভাগই বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীনে তৈরি। ছবি: এএফপি

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ট্রাম্পের যেসব কথায় সমর্থকদের সবচেয়ে বেশি উল্লসিত হতে দেখা যায় তার মধ্যে ছিলো “আমেরিকান পণ্য কিনুন ও আমেরিকানদের নিয়োগ করুন।”

তবে সেখানে ট্রাম্পের সমর্থকরা লাল রঙয়ের যে ট্রেডমার্ক বেসবল হ্যাটটি মাথায় পরে ছিলেন সেটা কিন্তু ভিন্ন কথা বলছিলো। ‘যুক্তরাষ্ট্রকে আবার মহান করার’ স্লোগান লেখা থাকলেও ওই ক্যাপগুলো ছিলো বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীনে তৈরি।

হ্যাটগুলো বিদেশে তৈরি, বিষয়টি জানার পর ট্রাম্পের অনেক কট্টর সমর্থকও অবাক হয়েছেন।

শুক্রবারের শপথের আগে ১৩ বছরের ভিক্টোরিয়া স্কট ও তার এক বছরের ছোট ভাই অ্যান্ড্রিউ স্কট দুজনেই ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ হ্যাট কিনেছিলেন। ভিক্টোরিয়ার ২৫ ডলারের হ্যাটটি ছিলো চীনে তৈরি। তবে এটা জানার পরও তাকে দেখে মনে হয়নি সে দুঃখ পেয়েছে।

অ্যান্ড্রিউ তার নিজের হ্যাটটাতে দেখেন লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ’। নামটি উচ্চারণে সমস্যা হওয়ায় এক্ষেত্রে বাবা তাকে ঠিকভাবে ‘বাংলাদেশ’ বলতে সহায়তা করেন।

৪৪ বছরের বব ওয়াকার তার স্ত্রী অ্যাবিকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে ওয়াশিংটন থেকে জর্জিয়া যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাক স্টপে থেমে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ হ্যাট কিনেন তারা। অ্যাবির ভাষায়, “আমি আশা করেছিলাম এটা হয়তো চীনে তৈরি না। কিন্তু এটা উল্টাতেই দেখি লেখা রয়েছে চীনের নাম!”

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার ওয়েবসাইটেও লাল রঙয়ের এই হ্যাটগুলো বিক্রি করা হয়েছে। তখন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এই হ্যাটগুলোর দাম রাখা হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ ডলার। তবে শুক্রবার ওয়াশিংটনের রাস্তায় ওই একই হ্যাট ৫ থেকে ১০ ডলার কমে বিক্রি হচ্ছিলো। বলাই বাহুল্য এগুলো বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীনে তৈরি।

Comments

The Daily Star  | English

PSC announces major changes to ease BCS recruitment process

The PSC chairman says they want to complete the entire process — from prelims to recruitment — in 12 months

1h ago