ঢাকায় হেফাজতের তাণ্ডব: দুষ্কৃতিকারীরা চিহ্নিত হয়নি, পেছাচ্ছে বিচার
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/hefajat-mayhem.jpg?itok=JgJp59pE×tamp=1493719467)
চার বছর আগে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবকারীরা এখনো চিহ্নিত হয়নি। আর এ কারণেই ওই ঘটনার বিচার পেছাচ্ছে। ২০১৩ সালের ৫ মে’র ঘটনায় এখনও বিচার সম্পন্ন না হওয়ার কারণ হিসেবে আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এমন কথাই জানিয়েছেন।
ডিএমপির মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে মাস্টারমাইন্ডদের বের করে ফেলেছে। কিন্তু সেদিনের তাণ্ডবে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের এখনো চিহ্নিত করা যায়নি।
ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের চার বছর পূর্তি হতে চলেছে। এর তিন দিন আগে আজ সকালে মিন্টো রোডে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মনিরুল যিনি একই সাথে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধানের দায়িত্বেও রয়েছেন।
৫ মে’র ঘটনায় মোট ৫৩টি মামলা হয়। এর মাত্র কয়েকটি বাদে বেশিরভাগ মামলারই গত কয়েক বছরেও কোন অগ্রগতি হয়নি।
মনিরুল সাংবাদিকদের বলেন, ওই তাণ্ডবে হেফাজতের কর্মীদের দলগত ভূমিকা ও ব্যক্তিগত সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। এ কারণেই তদন্ত শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে।
মামলাগুলোর মধ্যে পল্টন থানায় ৩৩টি, মতিঝিল থানায় ছয়টি, শাহবাগ থানায় তিনটি, রমনা থানায় দুটি ও রাজধানীর অন্যান্য থানায় বাকি মামলাগুলো করা হয়। এর মধ্যে অন্যত সাতটি ‘হত্যা মামলা’ হিসেবে রুজু করা হয়।
সেদিন হেফাজতের কর্মীরা পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে রাজধানীকে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত করে। হেফাজতের লোকেরা দোকান, যানবাহন, পুলিশ ফাঁড়ি মিলিয়ে শতাধিক জায়গায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। এমনকি ইসলামি বইয়ের দোকানও তাদের হাত থেকে নিস্তার পায়নি।
৫ মে রাতেই ঢাকা থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর নিজেদের দুই হাজার নেতাকর্মী নিহত হওয়ার কথা দাবি করে সংগঠনটির নেতারা। তবে দাবির সমর্থনে নিহত নেতা-কর্মীদের নাম পরিচয় জানাতে ব্যর্থ হয় তারা।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিন পুলিশসহ মোট ১৩ জন নিহত হয়েছিল সেদিন।
Comments