ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলার পরিকল্পনা ছিল: আইজিপি

igp
১৫ আগস্ট রাজধানীর পান্থপথে জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক। ছবি: প্রবীর দাশ

“অপারেশন আগস্ট বাইট” এর মাধ্যমে নিহত “জঙ্গি” ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আসা শোকার্ত জনতার ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।

অভিযানের পর ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বিফ্রিংকালে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক আজ বলেন, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দারা সেই এলাকা পরিদর্শন করেন এবং অবশেষে স্কয়ার হসপিটালের উল্টো দিকে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনাল ঘিরে ফেলেন।

শিবির কর্মী সাইফুল

আইজিপি আরও বলেন, পুলিশি অভিযানে নিহত “জঙ্গি” সাইফুল ইসলাম খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ছিল এবং জামাতে ইসলামীর ছাত্র শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিল।

“জঙ্গি”-র শরীরে সুইসাইড ভেস্ট, ব্যাকপ্যাক এবং আইইডি বিস্ফোরক ছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন। “সাইফুল প্রথমে আইইডি-র বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর, যখন সে আরেকটি বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা করেছিল, তখনই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গুলি করেন,” যোগ করেন শহীদুল।

তাঁর মতে, সাইফুল মারা যায় সম্ভবত তার সুইসাইড ভেস্টের বিস্ফোরণে।

আইজিপি শহীদুল আরও বলেন, যদি সে জামাত-শিবিরের সঙ্গে জড়িত না থাকতো তাহলে জাতীয় শোক দিবসে এমন হামলার পরিকল্পনা করতো না।

সাংবাদিকদের তিনি জানান, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার অধিবাসী সাইফুলের পড়ালেখা শুরু হয় মাদ্রাসায়। তার বাবা খুলনার একটি মসজিদে ইমামতি করতেন।

কঠোর নিরাপত্তার ফসল “আগস্ট বাইট”

“আগস্ট বাইট” অভিযানকে আগস্ট মাসকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফসল হিসেবে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। এ মাসকে কেন্দ্র করে গোয়েন্দাদের নজরদারী এবং তৎপরতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।”

সাইফুল কি নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় ছিল এমন প্রশ্নে জবাবে এই শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

The interim government is set to bring the curtain down on the Awami League as a functioning political party.

2h ago