নতুন প্রজন্মকে আরও বেশি করে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে

নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও আদর্শ সম্পর্কে আরও বেশি করে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দীক্ষিত হলে বাংলাদেশের চলমান অনেক সংকট আগামীতে উত্তরণ সম্ভব হবে। একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সেই স্বপ্ন ও আদর্শ থেকে বাংলাদেশ এখনও বিচ্যুত হয়নি। তবে মাঝে মাঝে এখনও কিছু শক্তি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটা কোনও দিন সম্ভব হবে না।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা তুলে ধরেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজের রেজা আলি ওয়াশাখ হলে আয়োজিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান ও মৌলানা আজাদ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিজয়কৃষ্ণ রায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
এছাড়াও, উপদূতাবাসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ও কলকাতার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, “বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রদায়িক-ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের জন্য আজীবন লড়াই করে গিয়েছেন। ১৯৭১ সালে আমরা তাঁর ডাকেই মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি স্বাধীনতা এনে দিলেও তাঁর স্বপ্ন পুরোটা বাস্তবায়ন করার আগেই ঘাতকরা আমাদের কাছ থেকে তাঁকে কেড়ে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা কখনোই বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্মের কাছে আমার অনুরোধ ভালোভাবে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, পড়তে হবে। তাঁর আদর্শে দীক্ষা নিতে হবে। নতুন প্রজন্ম যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দীক্ষিত হয় তবে বাংলাদেশের বড় সংকটগুলোর উত্তরণের রাস্তা পাওয়া যাবে।
অধ্যাপক ড. বিজয়কৃষ্ণ রায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ শুধু বাংলাদেশেই নয় গোটা উপমহাদেশের রাজনীতিকরাও অনুসরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও, অনুষ্ঠান শুরুর আগে বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনায় তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুষ্ঠানে আগতরা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
Comments