পাহাড়ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪১

manikchari
রাঙ্গামাটির মানিকছড়িতে উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ছবি: প্রবীর দাশ

চট্টগ্রাম অঞ্চলের চারটি জেলায় পাহাড়ধস ও পাহাড়ি ঢলে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ সকালে কক্সবাজার জেলায় দুজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

ফলে, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো অন্তত ১৪১ জন।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, গতরাত তিনটার দিকে টেকনাফে ভূমিধসে মোহাম্মদ সেলিম (৪০) ও তাঁর তিন বছরের কন্যা তিশু মনি মারা যায়।

এদিকে, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ইউএনও মোহাম্মদ কামাল হোসেন এবং চেয়ারম্যান আলী শাহ জানান, পাহাড়ি ঢলের কবলে পড়ে উপজেলার পাঁচজন নিখোঁজ হওয়ার পর আজ সকালে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, আশিষ মজুমদার (৪৫), তাঁর স্ত্রী অঞ্জনা মজুমদার (৩২) ও তাঁদের মেয়ে তুলসি মজুমদার এবং অপর একজন দিলীপ দে (৫০)।

তিনি আরও জানান যে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২০,০০০ টাকা এবং ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ স্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পরিমল চন্দ্র কুণ্ডু দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্যে ৬০ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দলকে রাঙ্গামাটিতে পাঠানো হয়েছে।

বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জানান, জেলা সদরের লেমুঝিরি এলাকায় নিখোঁজ কামরুননেসা বেগম (৪৫) এবং তাঁর মেয়ে সুখিয়া বেগম (১২) কে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাগরে নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট প্রবল বর্ষণের ফলে এই পাহাড়ি ঢল ও পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও, বিগত বছরগুলোতে গাছ ও পাহাড় কাটার ফলে এমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে পরিবেশবাদীদের অভিমত।

গত সোমবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। একই সময়ে শুধু চট্টগ্রাম জেলায় ২২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর ফলে, অত্র অঞ্চলের নিচু এলাকাগুলো তলিয়ে যায়।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English
Starlink logo

BTRC approves licence for Starlink

This is the swiftest recommendation from the BTRC for any such licence, according to a BTRC official.

9h ago