শীর্ষ খবর

ফানুসবিহীন প্রবারণা পূর্ণিমা এ বছর

এ বছর প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস ওড়াবে না বাংলাদেশের বৌদ্ধ সমাজ। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ হিসেবে তারা ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রবারণা পূর্ণিমায় চট্টগ্রামের নন্দকানন বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে ফানুস ওড়ানো হচ্ছে। স্টার ফাইল ফটো

এ বছর প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস ওড়াবে না বাংলাদেশের বৌদ্ধ সমাজ। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ হিসেবে তারা ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। নানা রঙের ফানুস ওড়ানো এই উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ। প্রবারণা পূর্ণিমায় বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা ভিক্ষুদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বিশ্বাস করা হয়, এর মাধ্যমে বৌদ্ধ ভিক্ষু ও গৃহীদের পাপমোচন হয়।

প্রবারণা পূর্ণিমার উৎসব কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত এমন সময় নেওয়া হল যখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের মুখে গত কয়েক সপ্তাহে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। রোহিঙ্গা নিধন ও তাদের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার কাজে মিয়ানমারের স্থানীয় বৌদ্ধ উগ্রবাদীরা সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের সমন্বয়ক অশোক বড়ুয়া আজ ঢাকায় প্রেস ব্রিফিং করে ফানুস না ওড়ানোর কথা জানান। তিনি বলেন, “এ বছর আমরা ফানুস ওড়াবো না।” রোহিঙ্গাদের দুর্দশায় সহানুভূতি ও তাদের বিরুদ্ধে চলমান নির্যাতনের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান অশোক বড়ুয়া।

ফানুস না ওড়ানোয় এমনিতেই এবার উৎসবের রঙ ফিকে হয়ে যাবে। এর সাথে সীমিত আয়োজনে এবার প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করতে চায় বৌদ্ধ সমাজ। এর থেকে যে অর্থ সাশ্রয় হবে তা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দান করা হবে।

আগামী ৫ অক্টোবর বৌদ্ধ সম্প্রদায় প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করবেন।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Prolonged Middle East conflict to affect Bangladesh: PM

Prime Minister Sheikh Hasina today told parliament that the ongoing conflict in the Middle East, if escalates and gets prolonged, will affect Bangladesh socially, politically, and economically

56m ago