বনানীর ধর্ষণ মামলার আসামি যেভাবে নারায়ণগঞ্জ এলো

রাজধানীর বনানীতে কলেজ পড়ুয়া এক তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারকৃত বাহাউদ্দিন ইভান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতেই কৌশলে চলে আসে নারায়ণগঞ্জ।
সদর উপজেলার ফতুল্লার মাসদাইরে খালু এরশাদউল্লাহর বাড়িতে আশ্রয় নেয় ইভান। তবে সেখানে মাত্র দুই ঘণ্টা অবস্থান করার সুযোগ হয়েছিল ইভানের।
গত ৬ জুলাই সকালে বাসে করে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় আসার পর রিকশায় করে মাসদাইরের সে ওই বাসায় যায় দুপুর আড়াইটায়। আর র্যাবের জালে সে বন্দি হয় বিকেল সাড়ে ৪টায়।
শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ইভানকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে র্যাব কর্তৃক ঢাকার বহির্মুখী রাস্তা, রেল ও বাস স্টেশন, বিমানবন্দর এবং লঞ্চ টার্মিনালে নজরদারী বৃদ্ধির পাশাপাশি চেকপোস্ট ও টহল পরিচালনা করা হয়।
গত ৫ জুলাই সকালে ইভানের ঢাকার বাড়িতে অভিযানের সময় গ্রেফতার এড়াতে সে বাড়ির ছাদে আত্মগোপন করেছিল। পরবর্তীতে পুলিশ বাড়ি ত্যাগ করলে সে সাধারণ পোশাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বাসা থেকে বের হয়ে সে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় আত্মগোপন করে।
ওইদিন সন্ধ্যায় সে উত্তরার কাওলা এলাকায় যায়। এরপর, দক্ষিণ খান এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাসায় রাত যাপন করে।
গত ৬ জুলাই সকালে সে উত্তরা থেকে বাসে চড়ে গুলিস্তান হয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া পৌঁছায়। তারপর, সে তার খালার পশ্চিম দেওভোগ (মাসদাইর বাজার) বাসায় দুপুর আড়াইটায় আশ্রয় নেয়।
এরই মধ্যে একই সঙ্গে র্যাব-১ ও র্যাব-১১ কর্তৃক ইভানের বনানীর বাসা, চাঁদপুরের গ্রামের বাড়ি, ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও নারায়ণগঞ্জে তার আত্মীয় স্বজনদের বাসা-বাড়ি এবং পরিচিতদের বাসা বাড়ি নজরদারীর আওতায় আনা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি দল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ইভানের খালার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে বলে র্যাব কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন: বনানীতে আবারও ধর্ষণ: ৪ দিনের রিমান্ডে অভিযুক্ত ইভান
Comments