ভারতে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে শোক দিবস পালিত
শ্রদ্ধায় ও শোকের আবহে ভারতের বাংলাদেশ মিশন গুলোতে পালিত হচ্ছে বাংলাদেশের জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী। বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম মিশন, কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের মঙ্গলবার সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখেই দিনের কর্মসূচির শুরু হয়।
এ সময় সদ্য উপরাষ্ট্রদূত হিসেবে মিশনের যোগ দেওয়া তৌফিক হাসান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ।
কলকাতার স্পিথ রোডের বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকক্ষের আবক্ষ মূর্তিতেও মাল্যদান করেন উপরাষ্ট্রদূত, কলকাতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সোনালি ব্যাংক ছাড়াও কলকাতার অধ্যয়নরত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীরাও জাতির জনকের মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বেকার হোস্টেলে শ্রদ্ধা জানানোর পর নতুন উপরাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সোনার বাংলার স্বপ্নের স্রষ্টা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বাঙালিরা আজও পরাধীন থাকতেন।
মাওলানা আজাদ কলেজের পড়ার সময় ওয়েস্ট বেঙ্গল বেকার হোস্টেলেরই আবাসিক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্রাবস্থার স্মৃতি সংরক্ষণ করা রয়েছে সেখানে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ছাড়াও শাহাদাত বার্ষিকীতেও স্মৃতিফলক ও বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এদিনও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
কলকাতার বাংলাদেশ মিশন ছাড়াও ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বাংলাদেশের দূতাবাস, ত্রিপুরার উপদূতাবাস ও মুম্বাইয়ের উপদূতাবাসেও বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শহাদত বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
জাতীয় শোক দিবসে কলকাতায় উপদূতাবাসের রক্তদান কর্মসূচি ছাড়াও দুপুরে কলকাতার উপদূতাবাস প্রাঙ্গণে মিলাদ মাহফিলেও আয়োজন করা হয়েছে।
Comments